যে কারণে নাচের ক্লাসে তাঁরা

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে পারফরমিং আর্টসের আনুষ্ঠানিক স্কুল নেই। বিশেষ করে নাচের। তাই বলে নাচ শেখা থেমে নেই এই শহরের বাসিন্দাদের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের অনেকের। তাঁরা একেকজন একেক কারণে নাচ শিখতে আগ্রহী। আর সেই ইচ্ছা পূরণে রাজধানীতে চালু হয়েছে কয়েকটি নৃত্য একাডেমি। সেখানে ধ্রুপদি ও হিপহপ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের নাচ শেখানো হচ্ছে। আর যাঁরা শেখাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই নামকরা পেশাদার শিল্পী। এ নিয়ে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ডন গতকাল রোববার একটি ফিচার প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এসব স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখনো তেমন নয়। তবে যাঁরা ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই স্বনামধন্য ধ্রুপদি নৃত্যশিল্পী ইন্দু মিথার কাছ থেকে শিখছেন। তবে এসব শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই বিদেশি।

জিন্নাহ অ্যাভিনিউতে অবস্থিত স্টুডিও-৮। সেখানে শেখানো হচ্ছে সালসা, বলিউড নৃত্য, জুম্বা ও ইয়োগা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী। পুরুষ আছেন দু-একজন।

এই একাডেমির প্রশিক্ষক সাঈদ ফাইজান আহাব বলেন, ‘অনেকেই আসেন বিয়েতে কীভাবে নাচবেন তা শিখতে, আর অনেকে আসেন নিজেকে ফিট রাখতে।’

সাঈদ ফাইজান বলেন, করাচি ও লাহোরের লোকজন বিয়ের নাচের জন্য কোরিওগ্রাফার ভাড়া করেন। ইসলামাবাদে এসে নাচ শেখার চেয়ে বরং কোরিওগ্রাফার দিয়ে বাড়িতে নাচ শেখাই সুবিধাজনক বলে মনে করেন তাঁরা।

সাঈদ ফাইজান আরও বলেন, তিনি ২০০৯ সাল থেকে নাচ শেখাচ্ছেন। এ ছাড়া তিনি কূটনৈতিক এলাকা ‘ফ্রান্স ক্লাবে’ও কাজ করেছেন। এখানে লোকজন বলিউড নৃত্য বেশি পছন্দ করেন। কারণ, এটি শিখলে তাঁরা বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচতে পারেন।

সাঈদ ফাইজান একজন স্বশিক্ষিত নৃত্যশিল্পী। তবে তিনি লাহোরে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তিনি মনে করেন, ওজন কমানো ও ফিট থাকার জন্য নাচ একটি কার্যকর পন্থা। এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে ও রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে।

ওই একাডেমির একজন শিক্ষার্থী রোমি হুনজাই বলেন, পাহাড়ি উপত্যকা হুনজায় তাঁর বাড়ি। সেখানে যে নাচ শেখানো হয়, তা খুবই ধীর। তাই এখানে যা শেখানো হয়, তা মনে রাখতে তাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হচ্ছে। আরেক শিক্ষার্থী মিশাল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচার জন্য নয়, বরং নিজেকে ফিট রাখতে এখানে ভর্তি হয়েছি।’



মন্তব্য চালু নেই