যেভাবে হচ্ছে নতুন পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন

বায়োমেট্রিক (আঙ্গুলের ছাপ) পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর থেকে। আগামী এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম। এর মধ্যে নিবন্ধন করা না হলে সিম স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।

নতুন এ পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজন হবে- জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, সিমকার্ড ও এক কপি ছবি।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস ডিভিশনের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমদাদ উল বারি জানিয়েছেন, প্রত্যেক মোবাইল অপারেটর এনআইডি ডাটাবেজের সঙ্গে সংযুক্ত থাকছে এবং বিটিআরসিতে একটি সেন্ট্রাল ভেরিফিকেশন সিস্টেম থাকবে। যেখানে সমন্বিত ডাটা থাকবে। একজন গ্রাহক রিটেইলারের কাছে গিয়ে এনআইডি, জন্ম তারিখ এবং ফিঙ্গার প্রিন্ট দেবে। রিটেইলার অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে প্রথমে সেন্ট্রাল সিস্টেমে ডাটা পাঠাবে, সেন্ট্রাল সিস্টেম থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে এনআইডিতে যাবে।

টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, এনআইডি থেকে ভেরিফাইড হয়ে জানা যাবে সঠিক কি না? যখন ভেরিফাইড হয়ে আসবে তখন সেই ডাটা সেন্ট্রাল সিস্টেমে জমা হবে। তারপরই ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়েছে বলে ধরা হবে।

‘এই ভেরিফিকেশন সিস্টেম নতুন সিম নিবন্ধন, পুনঃনিবন্ধন, অ্যাক্টিভেশন-ডিঅ্যাক্টিভেশন এবং রি-অ্যাক্টিভেশনে ব্যবহার হবে’।

এমদাদ উল বারি বলেন, যুক্তিসঙ্গত কারণে যাদের এনআইডি নাই বা অন্য কোনো কারণে এনআইডি নিতে পারেননি, ছয় মাসের জন্য তাদের সিম অ্যাক্টিভ রাখা হবে। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যে এনআইডি উপস্থাপন করতে না পারলে ছয় মাস পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

জাতীয় ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রাহক তথ্য সংগ্রহ করে সিমকার্ড নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধনে আঙ্গুলের ছাপ পদ্ধতির উদ্যোগ নেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। বিজয় দিবসে বিটিআরসি কার্যালয়ে এই পদ্ধতির উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, ২০১০ সালের জুন মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে বিটিআরসি, এনআইডি এবং অন্যান্য অপারেটর সর্বপ্রথম এ উদ্যোগ নেয়। এর পর কয়েক দফা সিম নিবন্ধনের চেষ্টা করা হয়েছিলো। গত বছর এনআইডি ডাটাবেজ তৈরির পর বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনসহ একটা সিস্টেম স্থাপন করতে উদ্যোগ নিলেও কারিগরী, আইনি জটিলতায় হয়নি। ভবিষ্যতে শুধু সিম নয়, অন্যান্য কার্যক্রমে এই এনআইডির সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকবে। এজন্য আপামর জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে সেন্ট্রাল ডাটাবেজ রিচ করা হবে।

এর আগে গত ২১ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

বিটিআরসি আরো জানায়, পরীক্ষামূলকভাবে শুরুর সময় কাস্টমার কেয়ার পর্যায়ে বায়োমেট্রিকের ডিভাইস ছিল ২ হাজার ২৬০টি, এখন সারা দেশে রিটেইলার পর্যায়ে ৮১ হাজার ৫০০টি ডিভাইস রয়েছে। ভবিষ্যতে ১ লাখ ২ হাজার ডিভাইস স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এসব ডিভাইস বিভিন্ন অপারেটরের মধ্যে শেয়ার হবে। প্রায় পৌনে তিন লাখ রিটেইলারের মধ্যে ১ লাখ ২ হাজার ডিভাইস শেয়ার হবে।



মন্তব্য চালু নেই