যেদিন তিনি এসেছিলেন…

দেশীয় চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী নায়ক সালমান শাহ প্রয়াণের দেড় যুগ অতিবাহিত হয়েছে। গেল ৬ সেপ্টেম্বর ছিল তার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। আর আজ, ১৯ সেপ্টেম্বর ক্ষণজন্মা এই অভিনেতার ৪৩তম জন্মদিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সিলেট শহরের দাঁড়িয়াপাড়া মেঘনা-২১ নম্বর বাসায় নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। অসময়ে অনন্তলোকে পাড়ি না জমালে দিনটি বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য অনন্য একটি আনন্দের দিনই হয়ে থাকতো।
জন্মদিন উপলক্ষে অকালপ্রয়াত এই অভিনেতাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করলো এফডিসি। কেক কেটে, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং তারকা মেলার মধ্য দিয়ে শুক্রবার সালমান স্মরণ অনুষ্ঠানে এক হন তার সহ-অভিনেতা, পরিচালক ও ভক্তরা।
সালমান স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এস এম শফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সালমান ভক্ত ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান, মতিন রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজ কল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী বলেন, ‘সালমান শাহ বাংলা সিনেমায় নতুন যুগের সূচনা করে গেছেন। ঝিমিয়ে পড়া চলচ্চিত্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তাকে অনুসরণ করে তরুণরা এ শিল্পকে আরেও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’
পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘সালমান শাহ ছিলেন এমন একজন নায়ক যিনি নিজের অতীতকে ভুলে যাননি। কিন্তু বর্তমানে এমন একজন নায়ক আছেন যিনি নিজের অতীতকে বেমালুম ভুলে গেছেন। সালমানের কাছ থেকে তাদের অনেক কিছু শিক্ষা নেয়ার আছে।’
সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত কেয়ামত থেকে কেয়ামত চলচ্চিত্রটির মাধ্যমেই চলচ্চিত্র জগতে আবির্ভাব সালমানের। এরপর মাত্র ৪ বছরের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন ২৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে। বিজ্ঞাপন চিত্র, ধারাবাহিক, একক নাটকেও দেখা গেছে সালমানকে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মাত্র ২৫ বছর বয়সে অসংখ্য চলচ্চিত্রপ্রেমীকে কাঁদিয়ে অনন্তলোকে পাড়ি জমান সি এম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন; সবাই যাকে সালমান শাহ নামেই বেশি চেনেন।



মন্তব্য চালু নেই