যুক্তরাষ্ট্রে ছেলের হাতে কেন খুন হলেন বাংলাদেশি দম্পতি?

‘সরি, মাই ফার্ষ্ট কিল ওয়াজ ক্লামজি।’ দুঃখিত, প্রথম খুনটা ঠিকঠাক করতে পারিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের স্যান হোসে শহরের নিজের বাড়িতে নিহত আমেরিকান-বাংলাদেশি দম্পতির লাশের পাশে পড়ে থাকা এক নোটে লেখা ছিল এই কথা। ওয়াশিংটন পোষ্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার পর ঐ বাড়িতে গেছেন এমন প্রত্যক্ষদর্শীকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে এই নোটের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে।

স্যান হোসে শহরের পুলিশ এই হত্যার জন্য অভিযোগ এনেছে নিহত দম্পতির দুই ছেলে হাসিব আর ওমরের বিরুদ্ধে।

কিন্তু কেন নিজের বাবা-মাকে সন্তানরা এভাবে গুলি করে হত্যা করলো, তার মোটিভ এখনো অস্পষ্ট।

পুলিশ বলছে, বড় ছেলে হাসিব গোলাম রাব্বি স্বীকার করেছে, সে তার বাবাকে পর পর কয়েকটি গুলি করে।

ছোট ভাই ওমরের ভাষ্য অনুযায়ী, তার বড় ভাই হাসিবই বাবা-মা দুজনকে হত্যা করে।

নিহত রাব্বি দম্পতি বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে স্থায়ী হন বেশ কয়েক দশক আগে। গোলাম রাব্বি ছিলেন প্রকৌশলী। শামীমা রাব্বি একাউন্ট্যান্ট। থাকতেন চার বেডরুমের এক বাড়ীতে। সেখানে বড় করেছেন দুই ছেলেকে। একজনের বয়স বিশের কোঠায়, একজনের সতের।

রাব্বি দম্পতির হত্যাকান্ডের ঘটনা ফলাও করে প্রচারিত হচ্ছে মার্কিন গণমাধ্যমে। স্থানীয় বাংলাদেশিদের হতবাক করেছে এ ঘটনা।

হত্যার অভিযোগকে দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জেলখানা থেকে স্যান ফ্রান্সিসকো ক্রনিকলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে হাসিব রাব্বি বলেছেন, তিনি এই হত্যাকান্ডের আসল কাহিনি প্রকাশ করবেন। কিন্তু এরপর বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।

স্যান হোসের একজন পুলিশ কর্মকর্তা প্যাট্রিক গুরি বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, ঐ বাড়ীর দেয়ালে তারা কিছু লেখা দেখেছেন, যার সঙ্গে ওমর গোলাম রাব্বির হাতের লেখার মিল রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই