যশোরে ২০ দলীয় জোটের ৮০ নেতাকর্মীর জামিন
বুধবার দুপুরে যশোর অতিরক্তি জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদা বেগম ২০ দলীয় জোটের ৮০ নেতাকর্মী জামিন আদেশ মঞ্জুর করেন। জামিন প্রাপ্তরা হচ্ছেন যশোর পৌরসভার মেয়র মারুফুল ইসলাম, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র আবদুস সামাদ বিশ্বাস, মণিরামপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক রয়েছেন। এছাড়া যশোর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল হুদা, সহ-সভাপতি রফিকুর রহমান তোতন, আবদুস সবুর মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নূরুন্নবী, সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম, চৌগাছা উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি এমএ সালাম, সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী, যশোর নগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক তমাল আহমেদ, স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা যুবদল সভাপতি এহসানুল হক মুন্না, ছাত্রদল সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বাবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা আমির ফয়সালসহ অন্যান্যরা।
জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সাবেরুল হক সাবু জানান, দুই মেয়রসহ জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের শীর্ষস্থানীয় ৪৬ নেতাকর্মী গত রোববার আদালতে আত্মসমার্পণ করে জামিন আদেন করেন। কিন্তু জামিন প্রার্থনা নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করে। বুধবার ৪৩ জনের সাথে পূর্বের আরো ২৭জনের জামিন আদেশ মঞ্জুর করেন।
সাবু আরো বলেছেন, আদেশ হলেও তারা জেল খানায় আছেন। বেল্ডবণ্ড সেখানে পৌছানোর পর বের হবেন। এ কাজে সন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে।
যশোরে ছিনতাইকারী আটক ॥ চাকু উদ্ধার
মঙ্গলবার রাতে যশোর কোতয়ালি থানা পুলিশ শহরে অভিযান চালায়। এ সময় ছিনতাইকারী শরিফুল ইসলাম সোহাগকে আটক করে। তার কাছ থেকে একটি চাকু উদ্ধার করে। সে ওই এলাকার সিদ্দিক হোসেনের ছেলে।
যশোর কোতয়ালি থানার এসআই স্বপন কুমার দাস জানায় শহরের পুরতান কসবা কাজীপাড়া এলাকায় ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছিল। এ সময় তাকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি
বার্মিজ ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
যশোরে হত্যা মামলার প্রধান
আসামি গফুর ডাকাত রিমান্ডে
যশোর অফিস: যশোর কোতয়ালি পুলিশ গফুর ডাকাতকে রিমান্ডে নিয়েছে। সে যশোর সদরের রামনগর রাজারহাট এলাকার মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে।
বুধবার দুপুরে কোতয়ালি থানার এস আই কবির হোসেন তরু হত্যা মামলার প্রধান আসামি গফুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করে। বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আহমেদ তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে
সুমি হত্যার বিচার দাবি প্রধানমন্ত্রীর কাছে
আবিদুর রেজা খান: বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে ডা. শামারুখ মাহজাবীন সুমি হত্যার বিচার, খুনিদের অটক ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার বাবা।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাবা প্রকেীশলী নুরুল ইসলাম। এ সময় উপস্তিত ছিলেন সুমির শিক্ষক যশোর বিএএফ শাহীন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন, আইডিইবি এর সভাপতি প্রকেীশলী আবুল হোসেন, আইন সহায়তা কেন্দ্রের উপদেষ্টা জিবি আলম,পরিবারের সদস্য, নিকট আত্বীয় ও শহরের বিশিষ্ট জনেরা।
তিনি অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে মেয়ের সুখের জন্য লাখ লাখ টাকার উপহার দেয়া হযেছে। সাবেক এমপি খান টিপু সুলতান কৌশলে চাপ প্রযোগ করে এ উপহার গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন,সুমি মারা যাওয়ার আগে তার কাছে টিপু সুলতানের দুর্নীতির শ্বেতপত্র তার হাতে পৌছায়। টিপু সুলতান জেনে ফেলায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এসব কথা সুমি আমার মোবাইল ফোনে জানায়। ৪৫মিনিটের মোবাইল ফোনে কথোপকথনের রেকর্ড যাচাই করলে এর সত্যতা পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন যে চিকিৎসক সুমির মরদেহের ময়নাতদন্ত করেছেন তাকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করে রিপোর্ট তাদের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমির শিক্ষক যশোর বিএএফ শাহীন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন
সুমি হত্যার সঠিক বিচার দাবি করেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
মন্তব্য চালু নেই