যশোর সংবাদ

যশোরে যৌতুকে টাকা না পেয়ে বেধড়ক মারপিঠ করে পা ভেঙে দিয়েছে স্ত্রীর

যশোর সদরের ভায়না রাজাপুর গ্রামের এজাজুল হক যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রী লাবণী আক্তারকে বেধড়ক মারপিঠ করে। মারপিঠ করে খ্যান্ত হয়নি এ পর্যায় তার দুই পা ভেঙে দেয়। সে ওই গ্রামের হকার লিয়াকত আলীর কন্যা। এ সময় তার বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত লাবণী জানায় চার বছর আগে এজাজুল হকের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে এজাজুল এক লাখ টাকা দাবি করে আসছে। টাকা না পেয়ে এজাজুল হক তাকে নির্যাতন করত। শুক্রবার রাতে টাকা নিয়ে স্বী স্ত্রীর মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ পর্যায় এজাজুল লোহার রড দিয়ে স্ত্রী লাবণী আক্তারকে বেধড়ক মারপিঠ করে। এ সময় তার দুই পা ভেঙে যায়। লাবণীর বাবা লিয়াকত জানান বিয়ের পর থেকে এজাজুল এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছে। দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় এজাজুল লাবণীকে রড দিয়ে বেধড়ক পেটায়। এতে লাবণীর দুই পা ভেঙে যায়।

 

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নিহত ডা. সুমির বাবা
যশোর অফিস: ডা. শামারুখ মাহজাবিন সুমি হত্যা কান্ডের ঘটনায় বাবা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলা করেন। আসামি করেন যশোর-৫ আসনের সাবেক সংসদ অ্যাডভোকেট খান টিপু সুলতান, শাশুড়ি ডা. জেসমিন আরা বেগম এবং স্বামী হুমায়ুন সুলতানকে। প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম মামলা করে বিপাকে পড়েছেন। আসামিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর নানাভাবে হুমকি অব্যহত রেখেছে। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনায় তিনি
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে যশোর কোতয়ালি থানায় জিডি করেন।
উলেখ্য গত ১৩ নভেম্বর ডা. শামারুখ মাহজাবিন সুমি রাজধানীর ধানমন্ডিতে তার শ্বশুরালয়ের খুন হন। এ ঘটনায় মেয়ে ডা. সুমি হত্যার বিচার চেয়ে পিতা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলা করার পর তার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপর নানাভাবে হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এতে নিহতের বাবা, ভাই শাহানুর শরীফ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

যশোরে এক সাজাপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তর
শুক্রবার রাতে যশোর র‌্যাব-৬ ক্যাম্পের সদস্যরা যশোর বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মাগুরার সাজাপ্রাপ্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মীর আবু সাঈদ ওরফে সাঈদ মীরকে আটক করেছে। সে মাগুরা সদরের মীরপাড়া গ্রাামের আব্দুল কুদ্দুস মীরের ছেলে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বড়ালদাহ গ্রামে তার শ্বশুর অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি থেকে একটি শর্টগান, গুলি ভর্তি একটি ম্যাগজিন,তিনটি পিস্তল ও ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের মেজর আশরাফ বলেন সাঈদ মীর মাগুরা জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার নামে মাগুরাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, হত্যা প্রচেষ্টা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, অস্ত্রসহ ১৮টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে একটি মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অন্য একটি মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মীর আবু সাঈদ বিমানে যশোর আসে। বিমানবন্দরের মূলফটকের বাইরে বের হলে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার শ্বশুরবাড়ি অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই সব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
যশোরে দুই চিহ্নিত সন্ত্রাসী আটক  
যশোরে বিল্লাল হোসেন নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় স্থানীয় জনগন দুই সন্ত্রাসীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
আটককৃতরা হচ্ছে যশোর সদরের দূর্গাপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র বাপ্পী ওরফে বাবলু ও সুজলপুর গ্রামের আলম হোসেনের পুত্র আকবার আলী।
গত  ২৬ নভেম্বর দুপুরে সন্ত্রাসীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিল্লাল হোসেনকে ডেকে নেয়। এ সময় বাপ্পী, আকবর আলীসহ অজ্ঞাত কয়েকজন এলোপাতাড়ী ভাবে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পাশাপাশি তারা দুই সন্ত্রাসীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।



মন্তব্য চালু নেই