ময়মনসিংহে সামাজিক কোরবানিতে এবার ১৮০০ ভাগ
কয়েক শ বছর ধরে চলছে এই সামাজিক কোরবানির মাংস তৈরি ও বিতরণ। ধনী-গরিব সবাই এই মাংসের অংশীদার। ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা পৌর শহরের ঈশ্বরগ্রামে এবার এই সামাজিক কোরবানির মাংসের ভাগ পেয়েছে ১৮০০ বাড়ি।
মঙ্গলবার কোরবানির পর ১৮০০ ভাগ তৈরি করে সন্ধ্যায় সেগুলো বিতরণ করা হয়।
জানা গেছে, ওই গ্রামে যারা পশু কোরবানি দেন, তারা প্রতিটি পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ জমা দেন এই সামাজিক ভাগ-বণ্টনে। ঈশ্বরগ্রামের সমাজভুক্ত প্রত্যেকের বাড়ির জন্য একজন করে ভাগীদার ধরে মাংস ভাগ করা হয়। এবার ১৮০০ ভাগ করা হয়েছে সামাজিক কোরবানির মাংস। স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকিং করে আওতাভুক্ত বাড়ির মালিকদের ডেকে এনে মাংস বিতরণ করা হয়।
জানা যায়, জেলার ১৪টি উপজেলার অনেক গ্রামে এখনো ‘মসজিদভিত্তিক সমাজ’ প্রচলিত আছে। মসজিদ কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয় সমাজ। অনেক গ্রাম আছে যেখানে কোরবানি হয় মসজিদ কমিটির মাধ্যমে। কোরবানির মাংস যাতে সমাজের সবার ঘরে পৌঁছায়, সে জন্য কোরবানির মাংস তিন ভাগের এক ভাগ মসজিদ চত্বরে জমা করতে বলা হয়। কেউ এই নিয়মের ব্যতিক্রম করলে তাকে সমাজের কমিটির কাছে জবাবদিহি করতে হয়।
জমাকৃত মাংস মসজিদের আওতাভুক্ত প্রতিটি পরিবারকে একক ধরে ভাগ করা হয়। ধনী-গরিব সবাই সমান হারে ভাগ পায়। এই নিয়মে কোরবানির মাংস বণ্টন করার ফলে কোরবানির দিন কেউ মাংস থেকে বাদ যায় না।
তবে হাল সময়ে একান্নবর্তী পরিবারগুলো ভাগ হয়ে ছোট পরিবার হয়ে যাওয়ায় সামাজিক কোরবানির এই মাংস ভাগের প্রথা দিন দিন কমে আসছে।
মন্তব্য চালু নেই