“মৎস্য চাষের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন করা সম্ভব”
জুলফিকার আলী, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ ‘জল আছে যেখানে মাছ চাষ সেখানে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে কলারোয়ায় মৎস্য সপ্তাহের মূল্যয়ন, পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে কলারোয়া মৎস্য অফিসের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন।
এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ‘মৎস্য আমাদের জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদকে বাঁচিয়ে রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। মৎস্য চাষের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন করা সম্ভব। তাই সকলে মৎস্য চাষের উপর নজর বাড়িয়ে দিতে হবে।
সরকার আপনাদের পাশে আছে। আপনা প্রতিটি পুকুর,জলসায় মাছ চাষ করুন। আমরা মাছে ভাতে বাঙালী এই পথাটি চালু রাখতে হবে। ইতি মধ্যে আওয়ামীলীগ সরকারের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য সেক্টরের উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। যাহা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার মৎস্য সেক্টরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।
আগামী দিনে কলারোয়ার প্রতিটি পুকুর, জলাশয়ে মাছ চাষ করতে হবে। এই মাছ বিদেশে রপ্তানি করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশটি রক্ষা করতে হবে। এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা কৃষি অফিসার মহাসীন আলী, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এসএম আতিকুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুন নাহার আক্তার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আকবার হোসেন, সহকারী মৎস্য অফিসার বজলুর রহমান, ক্ষেত্রসহকারী আবুল কাশেম ও সাংবাদিক জুলফিকার আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে শ্রেষ্ঠ মনোসেক্র হ্যাচারী মালিক মোঃ কাবিল হোসেন, কৈ মাছের মিশ্রচাষী আনিছুর রহমান, গলদা চিংড়ী চাষী আরশাদ আলী শেখ, কার্প নার্সারী সাজেদুল ইসলাম মুকুল, ক্ষুদ্র পেনা ব্যবসায়ী শাহিনুর রহমানসহ ৫জনকে শেষ্ঠ পুরস্কার হিসাবে ক্রেষ্ট ও সনদ পত্র প্রদান করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্রসহকারী মনিরুজ্জামান।
মন্তব্য চালু নেই