মোবাইলে প্রেম, প্রথম সাক্ষাতেই গণধর্ষণ!

পরিচয় মোবাইলের মিসকলের মাধ্যমে। এরপর প্রতিদিন কথাবার্তা। এক পর্যায়ে গভীর প্রেম। কিশোরী প্রেমিকাটি হতদরিদ্র পরিবারের। তার প্রয়োজন বেঁচে থাকার একটুখানি অবলম্বন। একটা কর্মসংস্থান। কিশোরী প্রেমিকার এ দুর্বলতা লুফে নেয় প্রেমিক যুবক। মংলা ইপিজেডে চাকরির প্রলোভন দেয়ায়। সরলমনা কিশোরী মনে প্রাণে বিশ্বাস করে বসে প্রেমিককে।

একদিকে চাকরি পাওয়ার আশ্বাস আরেকদিকে প্রেমিককে প্রথম দেখার মুহূর্ত- কিশোরী আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দেখা করতে যায় প্রেমিকের সঙ্গে। কিন্তু প্রথম দেখার সেই আনন্দ স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। শিকার হয় গণধর্ষণের। অতঃপর থানায় প্রেমিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা।

প্রকাশ্য দিনের বেলায় এ ঘটনা ঘটেছে সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের মংলা বন্দরের আবহাওয়া অফিসের কাছে। নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে প্রেমিক ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে মংলা থানায় ধর্ষণ মামলা করেছে।

ঘটনার নায়ক বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ভরসাপুর এলাকার শহীদ শেখের ছেলে ফয়সাল (২১) ও তার সহযোগী একই উপজেলার তুলশিরাবাদ এলাকার মৃত মজিদের পুত্র আব্দুর রহিমকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মাস তিনেক আগে মোবাইল ফোনে রামপালের কিশোরীর সঙ্গে পরিচয় হয় একই এলাকার ফয়সালের। এ সময় কিশোরী তার সঠিক পরিচয় প্রকাশ করলেও পরিচয় গোপন রাখে সুচতুর ফয়সাল। এর মধ্যে ফোনে কথা হলেও দেখা হয়নি তাদের। তাই প্রথম দেখা হবে, সঙ্গে মিলবে মংলা ইপিজেডে চাকরি। প্রতারক প্রেমিকের ফাঁদে পা দিয়ে সোমবার দুপুরে মংলায় চলে আসে সরলমনা কিশোরী। ফয়সাল তাকে ফুসলিয়ে মংলার আবহাওয়া অফিস থেকে দুইশ গজ দূরে আম বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে কথা বলার এক পর্যায়ে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি কাউকে না জানাতে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ সময় ফয়সালকে সহযোগিতা করে তার বন্ধু রহিম।

ঘটনার কিছু পরে মংলা থানার টিএসআই উত্তম চ্যাটার্জি নিয়মিত টহল দিতে গিয়ে দুই যুবকের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে কিশোরীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে নির্যাতিতা নিজে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে সোমবার রাতে মামলা দায়ের করে। অভিযুক্তদের মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেল হাজতে পাঠানো হয়।

মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই