মোবাইলে প্রেম, দিনের পর দিন ধর্ষণ, অত:পর ৭ মাসের অন্তঃসত্বা!

প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে এক শ্রমিকের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বখাটে সেলিমের বিরুদ্ধে। শিশুটি এখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

সম্প্রতি শিশুটির মা ঘটনার সাথে জড়িত তিন জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ দু’জনের নাম বাদ দিয়ে একজনকে আসামী করে মামলা নেয় বলে অভিযোগ শিশুটির পরিবারের। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।

২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর গ্রামের এক শ্রমিকের ১৪ বছরের শিশু কন্যার সাথে মোবাইলে সম্পর্ক গড়ে তোলে পাশের চন্ডিপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সেলিম। এরপর শিশুটিকে নানা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে।

সম্প্রতি শিশুটির অস্বাভাবিক চলাফেরা দেখে তার বাবা মা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে ধরা পড়ে মেয়েটি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সব শেষ গত ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় শিশুটির বাড়িতে ঢুকে আবারো ধর্ষণের চেষ্টা করলে এলাকাবাসী সেলিমকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। তবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তায় সেলিমকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় তার বাবা।

শিশুটির মা গত ১৬ মার্চ গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের শরণাপন্ন হলে তিনি গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

কিন্তু তিনি সেলিমসহ ঘটনার সাথে জড়িত তিন ব্যক্তিকে আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় এজাহার করতে গেলে পুলিশ শুধুমাত্র সেলিমকে আসামী করে মামলা নেয়। অভিযুক্ত সেলিমকে তার বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে তার মা ঘটনাটির আংশিক সত্যতা স্বীকার করেছেন।

অবশ্য গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলছেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অন্তঃসত্ত্বা শিশুটি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার উত্তর সিংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।



মন্তব্য চালু নেই