‘মেয়ে ও ৫ নাতনির লাশ দাও, জঙ্গি জামাইয়ের লাশ চাই না’

মৌলভীবাজারের নাসিরপুরে জঙ্গি আস্তানায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৭ জন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের একই পরিবারের সদস্য। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে তাদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হন পরিবারের সদস্যরা। তারা হলেন, কলাবাড়ী গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকির জামাতা লোকমান আলী (৪৫), মেয়ে মোছা. শিরিনা আক্তার (৩০), নাতনি আমেনা খাতুন (২১), সুমাইয়া (১২), মরিয়ম (১০), ফাতেমা (৭) ও খাতিজা (৭ মাস)।

লোকমানের শ্বশুরের পরিবার তার মেয়ে ও ৫ নাতনির লাশ ফেরত চাইলেও জামাতা লোকমানের লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

গত ২৯ মার্চ দিবাগত রাতে মৌলভীবাজারের নাসিরপুরে একটি জঙ্গি আস্তানায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয় চার শিশুসহ ৭ জন। নিহতদের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর ঘোড়াঘাট উপজেলার কলাবাড়ী গ্রামের আবু বকর সিদ্দিক নিশ্চিত করেন নিহতরা তার জামাতা, মেয়ে ও ৫ নাতনি।

আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, প্রায় ৩ বছর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর গত ২৯ মার্চ রাত ১টা দিকে তার মেয়ে শিরিনা আকতার ফোন করে বলে, ‘বাবা আমাকে মাফ করে দিও, আর কোন দিন দেখা হবে না।’ এ সময় তারা কোথায় আছে মেয়ের কাছে জানতে চাইলে মেয়ে কাঁপা গলায় জানায় এখানে কারো আসার উপায় নেই। সে সময় পাশেই জামাই লোকমান আছে বুঝতে পেরে তার সাথে কথা বলতে চাইলে লোকমান কথা বলেনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেয়ে ও ৫ নাতনি হারানোর শোকে বিলাপ করছে শিরিনা আক্তারের বাবার বাড়ির লোকজন। তারা ভয়াবহ পরিণতির জন্য লোকমানের উগ্রবাদী কর্মকান্ডকেই দায়ী করেছেন। তাদের অভিযোগ, তার মেয়ে ও নাতনিদের জোর করে আটকে রেখেছিলো লোকমান।

শিরিনা আক্তারের মা জোবেদা বেগম বলেন, আমার মেয়ে ও ৫ নাতনির লাশ ফেরত দাও। দেশদ্রোহী জামাতা লোকমান আলীর লাশ আমরা চাই না্।’



মন্তব্য চালু নেই