মেয়র আইভীর শপথ, দায়িত্বগ্রহণ ৯ জানুয়ারি

টানা ‍দ্বিতীয় দফায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। ২২ ডিসেম্বরের ভোটের প্রায় দুই সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাকে শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শপথ নিলেও আইভী এখনই নারায়ণগঞ্জ সিটির মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন না। আরও চারদিন পর আগামী ৯ ডিসেম্বর তার দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নেওয়ার কথা আছে। ভোটে অংশ নেয়ার জন্য তিনি মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে নগরের জনপ্রতিনিধির পদ ছাড়েন গত ২৩ নভেম্বর। এরপর নামেন ভোটের প্রচারে।

শপথ নেয়ার পর আইভী নারায়ণগঞ্জবাসীর উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার অঙ্গীকার করেন। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আগের মতোই সোচ্চার থাকার কথা জানান। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে পাশে থাকার আশ্বাস দেন আইভীকে। বলেন, তার সরকার সারা দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে। নারায়ণগঞ্জবাসীও এর সুফল পাচ্ছে। এই নগরের মানুষদের কী কী দরকার, সে বিষয়ে তিনি অবগত আছেন।

একই অনুষ্ঠানে শপথ নেন ২৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত নারী আসনের নয় জন কাউন্সিলর। তাদেরকে শপথ পড়ান স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

২০১১ সালে প্রথম নির্বাচনের মতোই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচনে গত ২২ ডিসেম্বরের ভোটে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন আইভী। বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে প্রায় ৮০ হাজার ভোটে হারান তিনি। একই দিন নির্বাচিত হন সংরক্ষিত নারী আসনেরসহ মোট ৩৬ জন কাউন্সিলর।

২৮ ডিসেম্বর নির্বাচিতদের নাম গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। পরে স্থানীয় সরকার বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে আজ তাদের শপথের আয়োজন করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর ২০১১ সালের প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতা শামীম ওসমানকে প্রায় এক লাখ দুই হাজার ভোটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন আইভী। তার আগে ২০০৩ সালের পৌরসভা নির্বাচনেও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নুরুল ইসলাম সরদারকে বিপুল ভোটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হন আইভী। এবার টানা তৃতীয় দফা তাকে নগর পরিচালনার দায়িত্ব দিলো নারায়ণগঞ্জবাসী।



মন্তব্য চালু নেই