‘মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট না পেলে শ্রমিকরা অবৈধ’

আগামী নভেম্বরের মধ্যে প্রবাসী শ্রমিকদের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) দেওয়া না গেলে তারা অবৈধ শ্রমিক হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘প্রবাসী শ্রমিকদের এমআরপি প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু প্রবাসে আমাদের যে সব শ্রমিক রয়েছে, তাদের যদি আগামী নভেম্বরের মধ্যে এমআরপি দেওয়া না যায় তা হলে তারা অবৈধ শ্রমিক হিসেবে বিবেচিত হবে। এ নিয়ে সরকার কঠিন চ্যালেঞ্জর মধ্যে রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে এমআরপি প্রদান কঠিনসাধ্য কাজ।’

দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে মঙ্গলবার বিকেলে ইশরাফিল আলমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। আশা করি, নভেম্বরের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে। মালয়েশিয়াতে কোনো সমস্যা নেই। আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে অবস্থান করা কিছু শ্রমিকের এ সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে সৌদি আরবে ২২ লাখ, আরব আমিরাতে ১৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। এদের এমআরপি প্রদান করা হবে।’

নেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ছবি বিশ্বাসের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বেসরকারিভাবে বিদেশে কোনো কর্মী প্রেরণ করা হয় না। রিক্রুটিং এজেন্সি সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বিদেশে কর্মী প্রেরণে সহায়তা করে।’

সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী সরকারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং ও জর্ডানে কর্মী প্রেরণ করা হয়। এ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় সাত হাজার, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১১ হাজার ৬৭৭ জন, হংকং এ ৮২৫ জন এবং জর্ডানে ৩২৯ জন কর্মী প্রেরণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরকালে সে দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রাথমিকভাবে এক হাজার কর্মী নেওয়ার সম্মতি প্রকাশ করেছে।

দিদারুল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ অদক্ষ জনশক্তি রফতানির শীর্ষে কথাটি সঠিক নয়। বর্তমান সরকার অদক্ষ কর্মী বিদেশে প্রেরণের পরিবর্তে ক্রমান্বয়ে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী প্রেরণের পদক্ষেপ নিয়েছে। তা ছাড়া সারা বিশ্বে কর্মী গ্রহণকারী দেশসমূহের কাছে দক্ষ কর্মীর কদর বেশী। তাদের মার্যাদা সম্পন্ন চাকরি পেতে সহজ হয়।’



মন্তব্য চালু নেই