মেডিকেল চেক-আপ: অবহেলা নয়, জেনে নিন প্রয়োজনীয়তা

সবার স্বাস্থ্যের ওপর নজর দিতে গিয়ে নিজেরটা অবহেলা করছেন না তো? ছেলে মেয়ের সামান্য হাঁচি হলেই ডাক্তার হাজির। স্বামী ডেন্টিস্টের অ্যাপয়েন্টমেন্ট যাতে মিস না করেন তাঁর জন্যে অ্যালার্ম সেট করে রেখেছেন কিন্তু নিজের শরীর নিয়ে যত অনীহা। আবার ঘর সামলাচ্ছেন এবং অফিসের প্রেশার, কত কাজ সময় কই নিজের মেডিকেল চেক-আপ করানোর। কিন্তু শরীর তো আর মেশিন নয়, সে কেন মানবে? মাঝে মধ্যে বিকল তো হবেই।

অনেকেই আছেন এমন যারা নিজের দেহকে অবহেলা করে থাকে। কোন শারীরিক দুর্বলতা কে সামান্য কোন সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যায়। কিন্তু একটা কথা মনে রাখা উচিত যে সবকিছুকে অবহেলা করলেও শরীরকে অবহেলা করা মোটেও ঠিক কাজ নয়। তাই মাস কয়েক পর পর কিংবা বছরে এক বার অবশ্যই নিজের দেহের সুস্থতা সম্পর্কে জেনে নেয়া অতি উত্তম কাজ।
কি করবেন

১। সবার আগে মেডিকেল চেক-আপের প্রয়োজনীয়তা মাথার মধ্যে গেঁথে নিন। বাড়ির বাকি সদস্যদের সঙ্গে নিজের চেক-আপটাকেও রুটিনের অন্তর্ভুক্ত করুন। চেক-আপ ছুটির দিনে রাখতে চেষ্টা করবেন যাতে বাড়ির সবাই উপস্থিত থাকতে পারেন।

২। চেক-আপের দিন কোন অ্যাপয়েন্টমেন্ট রাখবেন না। খুব জরুরী কাজ থাকলেও মাঝখানে সময় বের করে চেক-আপটা করিয়ে নেবেন। প্রয়োজন পড়লে ফ্যামিলি ডাক্তারের সাথে কথা বলে তাঁর বাসায় গিয়ে চেক-আপ টা করে আসতে পারেন।

৩। ডাক্তার যা পরামর্শ দেবেন তা মেনে চলুন। কোনো টেস্ট দিলে তা অযথা মনে করে বসে থাকবেন না। পাশাপাশি নিজেও ফিটনেস নিয়ম মেনে চলুন, নিয়মিত এক্সারসাইজ এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে আপনার চেক-আপের ঝামেলা নিজে থেকেই কমে আসবে।

৪। চেক-আপের রিপোর্ট কে অবহেলা করবেন না। ডাক্তার যদি বিশেষ কোনও সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন তা অবশ্যই মেনে চলুন। কোনও ওষুধ খেতে হলে নির্ধারিত সময়েই খান।

৫। নিজের শরীর খারাপ হলে ডাক্তার দেখাতে ভুলবেন না। বিশেষ কোন কিছু হয়নি মনে করে রোগ পুষে রাখবেন না। বাড়ির সকলের পাশাপাশি নিজের শরীরের প্রতিও নজর রাখুন।



মন্তব্য চালু নেই