মুজাহিদের আপিল শুনানি ১৪ জানুয়ারি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের আপিল শুনানির জন্য আগামী ১৪ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ।

বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাচঁ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

২০১৩ সালের ১১ আগস্ট খালাস চেয়ে আপিল দায়ের আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ।

মোট ৯৫ পৃষ্ঠার ১১৫ টি গ্রাউন্ডে আবেদন করা হয়। মূল আবেদনের সঙ্গে তিন হাজার ৮০০ পৃষ্ঠার নথিপত্র সংযোগ করে জমা দেয়া হয়েছে। অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদিন তুহিন এ আপিল দাখিল করেন।

এর আগে গত ১৭ জুলাই বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের  আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২  মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করে।

মুজাহিদের বিরুদ্ধে আনীত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতটির মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। দ্বিতীয় ও চতুর্থ অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি মুজাহিদকে এ দুই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ আগস্ট শাহরিয়ার কবিরের সাক্ষ্য দেয়ার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) আব্দুর রাজ্জাকসহ প্রসিকিউশনের পক্ষে মোট ১৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেয়। অপরদিকে মুজাহিদের পক্ষে একমাত্র সাফাই সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেয় তার ছোট ছেলে আলী আহমেদ মাবরুর।

গত বছরের ২১ জুন মুজাহিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট সাতটি ঘটনায় ৩৪টি অভিযোগে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। মুজাহিদের বিরুদ্ধে সাত অভিযোগ গঠনের আদেশে তার পরিচিতিতে বলা হয়, ১৯৪৮ সালের ২ জানুয়ারি ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার পশ্চিম খাবাসপুর গ্রামে মুজাহিদ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন। সেখানেই সে ইসলামী ছাত্রসংঘে যোগ দেয়।

২০১০ সালের ২৯ জুন আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। গত বছরের ২৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।



মন্তব্য চালু নেই