‘মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কেউ চাকরি ছাড়া থাকবে না’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কেউ চাকরি ছাড়া থাকবে না। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুাক্তযোদ্ধারা জাতিকে স্বাধীনতা উপহার দিতে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

আজ রবিবার ফরিদপুরে কবি জসিম উদ্দিন মিলনায়তনে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তানদের চাকরি প্রদান ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বর্তমান সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা জীবন ত্যাগ না করলে দেশ আজও স্বাধীন হতো না। যে চেতনা ও আদর্শ ধারণ করে আপনারা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ও অন্যতম শক্তিশালী পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন বর্তমান সরকার তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, দেশ স্বাধীন না হলে সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা হওয়া সম্ভব হতো না। দেশের অগ্রগতি ও অর্জন কিছুই সম্ভব হতো না। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করতে পারলে জাতি গর্ববোধ করে। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বহুমুখী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের কথা উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী বলেন, লক্ষ্য প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশে কোন অপশক্তি স্থান পাবে না। যে কোনো মূল্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের প্রতিহত করা হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনেক আন্তরিক। তাঁর সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রতিটি সদস্যের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরিতে প্রবেশের বিশেষ সুযোগ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আইন করে কোটা দিয়েছেন। আপনারা সন্তানদের সুশিক্ষিত করে সেই সুযোগ কাজে লাগান। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ও জীবনমান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে।

জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা, পুলিশ সুপার সুভাস চন্দ সাহা, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, বাংলাদেশ মুাক্তযোদ্ধা সংসদ ফরিদপুরের আঞ্চলিক কমান্ডার আবুল ফয়েজ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই