মীর কাসেমের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে যাবে আজই

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়েছে। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি মৃত্যু পরোয়ারনা আকারে আজই (বিচারিক আদালত) ট্রাইব্যুনাল থেকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে যাবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রায় প্রকাশের পর তিনি একথা বলেন।

মামলার পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে মাহবুবে আলম বলেন, ‘এই রায় আজকে প্রকাশ হয়েছে। এখন এটার সার্টিফাইড কপি আসামিপক্ষ যদি নেয়, তার ১৫ দিনের ভিতরে তাকে রিভিউ পিটিশন দায়ের করতে হবে। আজই ট্রাইব্যুনাল থেকে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে এই রায়ের কপি পাঠানো হবে এবং মীর কাসেম আলীকে এই রায় সম্বন্ধে অবগত করানো হবে। রিভিউ দায়ের করলে এই অবগত হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে দায়ের করতে হবে। রিভিউ পিটিশনের রায়ের উপরই নির্ভর করবে তার দণ্ড প্রক্রিয়ার পরবর্তী কার্যক্রম।’

তবে রিভিউতেও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকবে বলেই বিশ্বাস অ্যাটর্নি জেনারেলের। তিনি বলেন, ‘আসামিপক্ষ রিভিউ করতে পারে। আমার মনে হয় রিভিউ পিটিশনের স্কোপ খুবই সীমিত। কাজেই ফৌজদারি মামলায় বিশেষ করে রিভিউর উপর খুব বেশি একটা লাভ যে হয় এটা আমার জানা নাই। তবে তারা যদি ফাইল করলে আমরা রিভিউ পিটিশন কনটেস্ট করব।’

আপিলের রায় প্রসঙ্গে মাহবুবে আলম বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে যেগুলো চার্জে বিচার হয়েছিল চার নম্বর চার্জে ৭ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ১২ নম্বর চার্জ যেখানে তাকে সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এই দুটি চার্জে আপিল বিভাগ তাকে অব্যাহতি দিয়েছে।’

অপরদিকে ২, ৩, ৬, ৭, ৯, ১০, ১১ ও ১৪ এই চার্জগুলোতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে তার শাস্তি বহাল রাখা হয়েছে। ১১ নম্বর চার্জে তার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। আপিল বিভাগ সেই শাস্তি বহাল রেখেছে। সুতরাং অন্যান্য শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর মতো মীর কাসেম আলীকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই