মীর কাসেমের চূড়ান্ত রায় কাল

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর আনা আপিল মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার দিন ধার্য রয়েছে।

আপিলের ওপর আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করা হয়।

ট্রাইব্যুনাল মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে যে রায় দিয়েছে তা বহাল থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এই মামলায় খালাসের রায় হবে বলে প্রত্যাশা করেন।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মীর কাসেমের আপিল মামলাটির শুনানি শুরু হয়। আপিল বিভাগের এক নম্বর বিচারকক্ষে ৭ কার্যদিবসে এ মামলার শুনানি ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। এটি আপিলে সপ্তম মামলা যার চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে।

সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় মীর কাসেম আলীর পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর এ আপিল দায়ের করেন। আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করে ট্রাইব্যুনাল।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় ছাত্রসংঘের বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে গঠিত সশস্ত্র আলবদর বাহিনীর চট্রগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার হিসেবে মীর কাসেম আলী মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান, তা ট্রাইব্যুনালের রায়ে প্রমাণিত হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ১৭ জুন মীর কাসেম আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

এর আগে ঢাকা গত ৬ জানুয়ারি জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিলের রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এ মামলা এখন পূর্ণাঙ্গ রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে। এটি আপিলের ষষ্ঠ রায়। এছাড়াও আপিলে চূড়ান্ত পাঁচটি রায়ের পর চারটিতে জামায়াতের দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আপিলের আরেক রায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। রায় রিভিউ চেয়ে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ ইতোমধ্যে আবেদন দাখিল করেছে।



মন্তব্য চালু নেই