মানবতাবিরোধী অপরাধ

মীর কাসেমের আপিল শুনানি হয়নি

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেমের মামলা আপিলের বিষয়ে কোনো আদেশ হয়নি। এ মামলাটি আজ রোববারের কার্যতালিকায় আপিলের আদেশের জন্য ধার্য ছিলো।

আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চ না বসায় আজ এ মামলার আপিলের কোনো আদেশ হয়নি বলে জানা গেছে। বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোববারের কার‌্যতালিকায় মীর কাশেমের মামলাটি আপিল বিভাগের কার‌্যতালিকায় ছিলো, আদেশের জন্য কিন্তু আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চ না বসার কারণে এ মামলার শুনানী হয়নি। তিনি বলেন, আপিল বিভাগের পূর্নাঙ্গ বেঞ্চ এ মামলার ব্যাপারে পরবর্তি আদেশ দেবেন।

আপিল বিভাগের জৈষ্ঠ্ বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার নেতৃত্বে গঠিত ৩ বিচারপতির বেঞ্চ শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ বিষয়ে আদেশ দিতে পারেন।বেঞ্চের অপর দুই সদস্য হলেন,বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এর আগে গত ২৮ মে মীর কাসেমের আপিলের সারসংক্ষেপ ৪ সপ্তাহের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট। গত বছরের ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড থেকে বেকসুর খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করেন মীর কাসেমের আইনজীবীরা। আপিলে তার খালাসের পক্ষে ১৮১টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে।

২০১৪ সালের ২ নভেম্বর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ডের রায় প্র্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা জসিম ও জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে হত্যার দায়ে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।এর মধ্যে ১২ নম্বর অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে রায় প্রদান করা হয়।

এ ছাড়া ২ নম্বর অভিযোগে ২০ বছর, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে ৭ বছর করে এবং ১৪ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।অপরদিকে ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ থেকে মীর কাসেমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই