মীর কাসেমের আপিলে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলছে

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেছেন রাষ্ট্রপক্ষ।

বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আপিল শুনানি গ্রহণ করছেন।

বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে মীর কাসেমের পক্ষে চূড়ান্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।

আইনি পয়েন্টে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থান শেষ হলে আজই মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য করতে পারেন আপিল বিভাগ।

এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মীর কাসেমের পক্ষে প্রাথমিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন তার আইনজীবীরা। গত ৯, ১০, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি মীর কাসেমের আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড থেকে বেকসুর খালাস চেয়ে আপিল করেন মীর কাসেমের আইনজীবীরা। আপিলে তার খালাসের পক্ষে ১৮১টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে।

২০১৪ সালের ২ নভেম্বর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আনীত ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধা জসিম ও জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে হত্যার দায়ে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এর মধ্যে ১২ নম্বর অভিযোগে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে রায় প্রদান করা হয়।

এ ছাড়া ২ নম্বর অভিযোগে ২০ বছর, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে সাত বছর করে এবং ১৪ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। অপরদিকে ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ থেকে মীর কাসেমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই