‘মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা যাবে’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে দুদকের মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করতে পারবে বলে জানিয়েছেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

তিনি বলেন, ‘আদালত জামিন বিষয়ে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন, তাই এটি আদালতের আদেশ নয়। তৃতীয় বেঞ্চ যে আদেশ দেবেন সেটিই চূড়ান্ত।’ ততদিন পর্যন্ত মির্জা আব্বাস গ্রেফতার হবেন কিনা, তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করবে বলেও মত দেন এ আইন কর্মকর্তা।

আদালতের আদেশের পর নিজ কার্যালয়ে বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন মাহবুবে আলম।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশের দায়ের করা দুই মামলায় আদেশ না হওয়া পর্যন্ত তিনি আইনের দৃষ্টিতে পলাতক। তাই আমার মতে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে যাতে মির্জা আব্বাস প্রচারণা চালাতে পারেন সে জন্য সিনিয়র বিচারপতি তিন সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন। আর জুনিয়র বিচারপতি তা খারিজ করে দিয়েছেন।’

বুধবার দুপুরে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মির্জা আব্বাসকে দুই মামলায় আগাম জামিন দেওয়ার বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দেন।

মির্জা আব্বাস গৃহায়ন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৬ সালে আলমগীর কবিরের হস্তক্ষেপে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডকে বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে প্লট বরাদ্দ দেন। ১৮ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৯০০ টাকা মূল্যের সরকারি সাত একর সম্পত্তি তিন কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যে বরাদ্দ দিয়ে সরকারের ১৫ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৯০০ টাকা ক্ষতিসাধনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৪ সালে ৬ মার্চ শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক।

চলতি বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম তসরুজ্জামানের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হামিদুল হাসান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

দুদকের মামলায় মির্জা আব্বাসসহ পরোয়ানাভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন— সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী আলমগীর কবির, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) বিজন কান্তি সরকার, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ক্যাশিয়ার মো. মনছুর আলম ও হিসাব সহকারী মতিয়ার রহমান।



মন্তব্য চালু নেই