প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান :

মা গো ভাবনা কেন, শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনায় বসতে পারেন না জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সংসদে গানের পংক্তি উচ্চারণ করে বলেন, ‘মা গো ভাবনা কেন…আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে, তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি…. তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।’

বুধবার দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের ২২তম বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে গানের পংক্তিতে এমনই মন্তব্য করেন এই সংসদ সদস্য ।

তিনি বলেন, ‘এই দেশটা আমাদের মা। এই দেশের চোখে আজ অশ্রু। এই দেশটা আজকে কাঁদছেন।আমরা এই অশ্রুটা মুছতে চাই। এই দেশটা যদি মা হয়, তাহলে মায়ের প্রতিচ্ছবি হচ্ছে শেখ হাসিনা। বার্ণ ইউনিটের অজস্র ধারায় তার যে চোখের পানি পড়েছে। তা শেখ হাসিনার চোখের পানি নয়।তা দেশ মাতৃকার চোখের পানি। সে সহ্য করতে পারছেন না। তার ভূমির উপরে এই মানুষকে পুড়িয়ে মারা। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন,শহীদদের রক্তের উপর পাড়ি দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান কোন আলোচনায় বসতে পারে না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে বলতে চাই। আগুনে পোড়া কয়লার মানুষের লাশের উপর পা দিয়ে শেখ হাসিনা কোন জঙ্গি ও সন্ত্রাসী নেত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে না।

এরপর তিনি বলেন, শিল্পী মমতাজের মতো তো গান গাইতে পারি না। পারলে গাইতাম।’ এমন মন্তব্য করে সুরে সুরে তিনি বলেন, দেশের চোখে আজ পানি তার প্রতিচ্ছবি আমাদের সামনে বসা।শুধু এই টুকুই বলবো। আমরা যারা এই প্রজম্মের সন্তান।
‘‘মাগো তোমার ভাবনা কেন….
আমরা তোমার শান্তি প্রিয় শান্ত ছেলে
তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি।
তোমার ভয় নেই মা, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।’’

এর আগে নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সমালোচনা করে শামীম ওসমান বলেন, মাহমুদুর রহমান মান্না তেমন একটা ফেক্টর না।উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মারতে চাচ্ছেন। খুনাখুনি করতে চাচ্ছেন। ছাত্রদের লাশ ফেলতে চান।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনী দিয়ে ক্যু করানোর জন্য তাদের সঙ্গে কথা বলতে চান। এটা জিয়াউর রহমানের সেনাবাহিনী না। এটা বঙ্গবন্ধুর সেনাবাহিনী। বলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু সেনাবাহিনী ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন। আসলে উল্টা, বঙ্গবন্ধু সেনা বাহিনীকে নিজের সন্তানের মতো ভালোবাসতেন। সেনাবাহিনী নিয়ে কথা, এটার পিছনে তাদের হাত ছিলো এটা আদালতের মাধ্যমে একদিন প্রমাণিত হবে। খালেদা জিয়ার হাত ছিলো। সেনা বাহিনীর জন্য বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা করেছেন। এর বাইরে এরশাদ সাহেব কিছুটা করেছেন।

শামীম ওসমান বলেন, জিয়াউর রহমান স্বেচ্ছায় যুদ্ধ করেন নি। জিয়াউর রহমান অস্ত্র সমর্পন করার সময় কর্নেল অলি তাকে পিস্তল ঠেকিয়ে অস্ত্র সমর্পন করতে দেননি। তিনি বাধ্য হয়ে যুদ্ধ করেছেন।কাদের সিদ্দিকীর বইয়ে এ কথা লেখা আছে। বিএনপি এ লেখার প্রতিবাদও করেনি।

খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার অনেক চেহারা দেখি। বাড়ি ছাড়ার সময় তিনি হাউমাউ করে কাঁদলেন। অপরদিকে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা ধানমন্ডির বাড়ি ছেড়ে দিলেন। কারণ তাদের সম্পদের প্রতি লোভ নেই।



মন্তব্য চালু নেই