মালিকবিহীন ৫৮ লাখ টাকা নিয়ে লুকোচুরি কেন?

চট্টগ্রামের আদালত ভবন এলাকায় থেকে উদ্ধারকৃত ৫৮ লাখ টাকা ঘুষের বলে সন্দেহ করছে পুলিশ।তবে এ নিয়ে প্রশাসনযন্ত্রের একটা লুকোচুরিভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে সাংবাদিকদের। গত দুই দিন ধরে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ সারা দেশে। গ্রেপ্তারকৃত ইলিয়াছের কাছ থেকে  ৫৮ লাখ টাকা উদ্ধারের পর প্রাথমিক তদন্ত শেষে তিন সার্ভেয়ারকে বদলি করা করা হলেও এব্যাপারে মুখ খুলছেনা কেউই।
তদন্ত কমিটি কাজ করছে বলে জানা গেছে। বলা বলি হচ্ছে, উদ্ধারকৃত টাকা জেলা প্রশাসনের ভূমি শাখার সার্ভেয়ারদের ঘুষের টাকা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ঘুষের না হলেও কেউ কি এত বিপুল অংকের টাকা এভাবে হাতে হাতে পাঠায়। তাছাড়া ঘটনার পর অনেক সময় পার হলেও কেউ এই টাকার মালিকানা দাবি করছে না।

তবে বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে জানা গেছে এই বৃহৎ অঙ্কের ঘুষের লেনদেনের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও জড়িত থাকতে পারে। আর তাদের বাঁচানোর একটা চেষ্টাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে সর্বত্র। তবে ঘুষের টাকাসহ আটক মো. ইলিয়াছকে (৩৩) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারলেও এ ব্যাপারে মুখ খুলছে না পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। নানা অজুহাতে পুলিশ সাংবাদিকদের এড়িয়ে যাচ্ছে।
পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গঠন করা হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি। আটক ইলিয়াছের পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়েছে, পুলিশ।
এক লাখ কিংবা দুই লাখ  নয় এক থলেতে পাওয়া গেল ৫৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা। এই টাকা নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ইলিয়াছকে আটকের পর তার মুঠোফোনে পাওয়া গেল মুরাদ নামের ভূমি শাখার এক সার্ভয়ারের তথ্য, যার সাথে ঘটনার আগে ইলিয়াছের অন্তত সাত বার যোগাযোগ করেন। আটক বিপুল পরিমান নগদ টাকার ব্যাপারে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ায় তাকে টাকাসহ গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
মালিকানাবিহীন টাকা আটকের ঘটনায় এক সার্ভেয়ারের নাম আসায় পুরো ভূমি শাখার তিন সার্ভেয়ার শহিদুল ইসলাম মুরাদ, মো: মজিবুর রহমান এবং মো: নূর চৌধুরীকে পার্বত্য জেলা বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির দূর্গম এলাকায় শাস্তিমূলক বদলি করা হয়।
ভূমি শাখার সার্ভেয়রা নানা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগের কথা স্বীকারও করেন জেলা প্রশাসক।
ভূমি অধিগ্রহণে নানা ধরনের সুবিধা পাইয়ে দিতে সার্ভেয়ারদের ব্যাপক ঘুষ দিতে হয় বলে অভিযোগ অনেকের।


মন্তব্য চালু নেই