মার্কিন প্রতিনিধি দল ঢাকায়

দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবঘোষিত রাজনৈতিক-বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি থমাস এ শ্যানন জুনিয়র। তার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি নিশা দেশাই বিসওয়াল ও উপসহকারী সেক্রেটারি মনপ্রীত সিং আনন্দ।

আজ রবিবার সকাল ১০টার কিছু আগে শাহজালাল বিমান বন্দরে শ্যাননকে বহনকারী ফ্লাইটটি অবতরণ করে। বিমান বন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জিয়াউদ্দিন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আবিদা ইসলাম। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাটসহ দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সফরের প্রথম দিনে থমাস শ্যানন আজ বেলা সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সন্ধ্যা ৬টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এর আগে দুপুরে তিনি বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নিয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তৃতা করবেন। রাতে তিনি পররাষ্ট্র সচিবের আমন্ত্রণে এক ডিনার পার্টিতে অংশ নেবেন।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, থমাস এ শ্যানন আজ ও আগামীকাল বাংলাদেশ সফর করবেন। ১৪-১৬ সফর করবেন ডিসেম্বর শ্রীলংকা।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, বর্তমানে থমাস এ শ্যানন জুনিয়র মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে কাউন্সিলর হিসেবে নিযুক্ত। তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে এ দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। চলতি বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থমাস এ শ্যানন জুনিয়রকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পরবর্তী রাজনৈতিক-বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে ঘোষণা দেন জন কেরি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিক-বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারির পদটি বর্তমানে শূন্য। শ্যাননের পূর্বসূরি ওয়েন্ডি শেরম্যান তার মেয়াদকাল পূর্ণ করেন গত ২ অক্টোবর।



মন্তব্য চালু নেই