মামলা এরশাদের, জরিমানা জাপার

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলের নির্বাচনী ব্যয় বিবরণী জমা না দেয়ায় জরিমানা গুণতে হচ্ছে সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে (জাপা)। একই সঙ্গে নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হিসেবে নির্দিষ্ট সময়ে ব্যয় বিবরণী জমা না দেয়ায় মামলার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন দলটির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন ৭টি দল সময় মতোই দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে। আর চারটি দল সতর্ক করে চিঠি দেয়ার পর ব্যয় বিবরণী জমা দেয় আওয়ামী লীগসহ চারটি দল।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গত বুধবার নির্বাচনে অংশ নেয়া দলের ব্যয় বিবরণী জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৪৪ সিসিসি-বিধি ৫ অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনী ব্যয় জমা না দিলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে হিসাব জমা দেয়ার সুযোগ পাবে। তবে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যয় বিবরণী জমা না দিলে সেই দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে ইসি।

আরপিও মোতাবেক, নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট হওয়ার পর ৯০ দিনের মধ্যে দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়ার বিধান রয়েছে। সে হিসাবে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে সব দলের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।

২৩ এপ্রিলের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যয় বিবরণী জমা না দেয়ায় গত ৪ মে ইসি ১২টি রাজনৈতিক দলকে সতর্কীকরণ নোটিশ দিয়েছিল। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১১টি দল ব্যয়ের হিসাব জমা দিলেও জাতীয় পার্টি দেয়নি।

যে ১১টি দল ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে সেগুলো হলো- আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, তরীকত ফেডারেশন, বিএনএফ, জাতীয় পার্টি-জেপি, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাপ, গণফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট।

আইন অনুযায়ী, যে দল থেকে সর্বোচ্চ ৫০ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছে সে দল সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০০ প্রার্থীর জন্য দেড় কোটি টাকা এবং সর্বোচ্চ ২০০ প্রার্থীর জন্য তিন কোটি টাকা ও সর্বোচ্চ ৩০০ আসনের প্রার্থীর জন্য সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয় করার সুযোগ ছিল।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ইসি ১১টি দলের ব্যয় বিবরণী হাতে পেয়েছি। তবে জাতীয় পর্টির ব্যয়ের হিসাব আমরা হাতে পায়নি। যেগুলো হাতে পেয়েছি সেগুলো নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হচ্ছে।’



মন্তব্য চালু নেই