মহাসড়কে তীব্র যানজট : ৫ মিনিটের রাস্তা এক ঘণ্টা

ঢাকা-টাঙ্গইল মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজট মহাসড়কের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা থেকে মির্জাপুরের ধল্যা এলাকা পর্যন্ত প্রায় ২৭ কিলোমিটার এলাকা বিস্তৃত হয়েছে। এতে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

শুক্রবার রাতে মহাসড়কের চন্দ্রা ও কোনাবাড়ি এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোতালেব হোসেন ও গোলাম কিবরিয়া নিশ্চিত করেছেন।

৫ মিনিটের রাস্তা অতিক্রম করতে চালকদের প্রায় এক ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়তে হচ্ছে। টাঙ্গাইলের দিকে যান চলাচল করলেও ঢাকার দিকে যানবাহনের চাকা কিছু সময় ঘুরছে আবার বন্ধ থাকছে।

পুলিশ, যাত্রী, শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার রাতে বৃষ্টি হওয়ার পর রাত ১২টায় মহাসড়কের চন্দ্রা ও কোনাবাড়ি এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় টাঙ্গইলের দিকে গাড়ির চাকা ধীর গতিতে চললেও ঢাকার দিকে গাড়ির চাকা বন্ধ থাকে। এতে মহাসড়কে যানজট দীর্ঘ হতে থাকে। এক পর্যায় যানজট চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইল বাইপাস এলাকা পর্যন্ত উভয় পাশে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার এলাকায় বিস্তৃত ঘটে।

কালিয়াকৈর, গোড়াই হাইওয়ে, মির্জাপুর, দেলদুয়ার, বাসাইল ও টাঙ্গাইল সদর থানা পুশিল রাতভর যানজট নিরসনে কাজ করেন। টাঙ্গাইলের দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখওলও চন্দ্রা ও কোনাবাড়ি এলাকায় যানজট থাকায় ঢাকার দিকে যান চলাচল বন্ধ থাকে।

যানজটে আটকা পড়া যানবাহনের চালেকরা গাড়ির মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। শনিবার সকাল ১১টায় মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে টাঙ্গাইলের দিকে গাড়ির চাকা ধীর গতিতে ঘুরলেও ঢাকার দিকে থেমে রয়েছে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের কালিয়াকৈর থেকে মির্জাপুরের ধল্যা পর্যন্ত প্রায় ২৭ কিলোমিটার ঢাকার দিকে যানজট রয়েছে বলে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে।

একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে রাতভর যানজটে আটকা পড়ে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এতে বেশি দুর্ভোগে পড়েন নারী ও শিশু যাত্রী। প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে তাদের বেশি হিমশিমে পড়তে হয়।

টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে আসা বালুর ট্রাকের (ঢাকা-মেট্রো ট-১৪-৭২৮৭) হেলপার আজীবর বলেন, সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কের কুর্ণী এলাকায় এসে যানজটে আটকা পড়েন। ৫ মিনিটের রাস্তা ১ ঘণ্টায় পাড়ি দিয়ে মির্জাপুর বাইপাস পর্যন্ত আসতে পেরেছি। যানজটের কারণে মালিক, শ্রমিক ও সরকারের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

হানিফ এন্টারপ্রাইজের হেলপার মনোরঞ্জন বলেন, ধল্যা বাসস্ট্যান্ড থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার রাস্তা আসতে তাকে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় যানজটে থাকতে হয়েছে।

ইশ্বরদী থেকে আসা অহনা পরিবহনের যাত্রী আরিফ হোসেন বলেন, স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে তিনি ঢাকার উদ্দ্যেশে যাত্রা করেন। রাত ৪টার দিকে মির্জাপুরের পোস্টকামুরী নামক স্থানে যানজটে আটকা পড়েন। কিছু রাস্তা আসার পর গাড়িটি বিকল হয়ে পড়লে সকাল ১১টা পর্যন্ত মির্জাপুর ফিলিং স্টেশনের পাশে অপেক্ষা করতে হয়। যানজট ও বৃষ্টির কারণে পরিবার নিয়ে তাকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। পরে তিনি অটোরিকাশা করে চন্দ্রার উদ্দ্যেশে যাত্রা করেন।

মির্জাপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম কিবরিয়া ও মোতালেব হোসেন জানান, টাঙ্গাইলের দিকে গাড়ির চাকা ঘুরলেও মহাসড়কের কালিয়াকৈর, চন্দ্রা ও কোনাবাড়ি এলাকায় যানজট থাকায় ঢাকার দিকে গাড়ি চলতে পারছে না। এ কারণে মির্জাপুরে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছেন।



মন্তব্য চালু নেই