মমতা দিল্লি যেতে পারবেন কিনা ঠিক করে দেবেন নরেন্দ্র মোদী

বুথ ফেরত সমীক্ষা বিজেপিকেই এগিয়ে রাখছে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফলে। যদি মোদী-ম্যাজিক সত্যিই এভাবে কাজ করে আরও একবার এব‌ং উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকার এসে যায়, তাহলে জাতীয় রাজনীতিতে নরেন্দ্র মোদী অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবেন।

তৃণমূল সূত্রের খবর, হোলির পরেই মমতার দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এখনও পর্যন্ত সেই কর্মসূচি বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে তার খবর না থাকলেও, মোদী ঝড়ে বিরোধীরা কুপোকাত হয়ে গেলে মমতা দিল্লি গিয়ে কী করবেন সেই প্রশ্ন উঠছে দলের মধ্যেই।

সাধারণত দিল্লি গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করে পরামর্শ দেওয়া ছাড়াও, সংসদের সেন্ট্রাল হলে একবার যান। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক দলের নেত্রী হিসেবে সেখানেই বিভিন্ন দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে নেন। এছাড়া সংসদ ভবনের বাইরেও বৈঠক করেন বিরোধী নেতাদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাতের কর্মসূচীও থাকে কখনও।

নোটবাতিল বিরোধী আন্দোলনের সময় বিরোধী দলগুলিকে সঙ্ঘবদ্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মমতা। রাহুল গাঁধীর সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন যেমন করেছিলেন, তেমন অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে জনসভাও করেছিলেন।

কিন্তু পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল সমীক্ষা অনুযায়ী হলে বিরোধীরা মোদীর চাপে খানিকটা মুষড়ে পড়বেন। দিল্লি গিয়ে মমতা জাতীয় রাজনীতির অঙ্কটি নতুন করে মেপে নিতে চাইবেন। কিন্তু নতুন করে এত তাড়াতাড়ি মোদী-বিরোধী হাওয়া তোলা তাঁর পক্ষে কঠিন হবে।

অন্যদিকে পঞ্জাবে আপ বা কংগ্রেস কেউ ক্ষমতায় আসবেই বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হলে, মমতা চাইছেন মায়াবতী ও অখিলেশ একে অপরের হাত ধরুন। সেক্ষেত্রে নতুন করে মোদী বিরোধিতার সমীকরণ তৈরি হতে পারে। মমতা সেই সমীকরণে বড় ভূমিকা নিতে চাইবেন। রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, জাতীয় বিরোধী রাজনীতির সেই শূন্যস্থানের দখল নিতে চাইবেন মমতা।

তবে সবই নির্ভর করছে শনিবার নির্বাচনের ফলাফলের উপর। মমতাও তার দিকে তাকিয়ে। তারপরেই তিনি রাজধানী-সফরের কর্মসূচি চূড়ান্ত করবেন।



মন্তব্য চালু নেই