মদনে লুটপাট: মামলা নিচ্ছে না পুলিশ
আরমান জাহান চৌধুরী, মদন (নেত্রকোণা) থেকে: মদনে হত্যা মামলার জের ধরে আসামী পক্ষের ২শতাধিক গাছ কর্তন ও ৭টি বাড়িঘর চুরমার করে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মদন উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে রুদ্রশ্রী গ্রামে । এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও মামলা নিচ্ছে না পুলিশ।
অভিযোগে জানা যায়,গত ১৭ জুন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুদ্রশ্রী গ্রামে এক সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয় এদের মধ্যে শফিকুল ১৮ দিন ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এ ব্যাপারে ১০ জনকে আসামী করে মৃতের ভাই আলাল উদ্দিন বাদী হয়ে মদন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামী পক্ষের কামরুল,আসাদ মিয়া,পারুল মিয়া,খোকন মিয়া,খসরু মিয়া,তোতা মিয়া,সেকুল মিয়া বাড়ীঘর ছেড়ে পালিয়ে গেলে বাদী পক্ষের লোকজন তাদের ৭ জনের বসত ঘরে লুটপাট ও ঘর চুরমার করে ধ্বংস করে দিয়েছে। এ সব বাড়ীর ২শতাধিক বিভিন্ন প্রকার গাছ কর্তন করে বিনষ্ট করে দেয়। বাড়ীগুলোতে ভীটের মাটি ছাড়া কোন অস্তিত নেই। রোববার আমাদের এই প্রতিনিধি সরেজমিনে গেলে এ দৃশ্য চোখে পড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনার আসে পাশের লোকজনের সাথে আলোচনা করে জানা যায়, শফিকুলের মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এসব বাড়ীর লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। গৃহকর্তার অনুপস্থিতির সুযোগে বাদী পক্ষের কতিপয় দূস্কৃতিকারী লোকজন তাদের বাড়ীঘর লুটপাট, চুরমার ও গাছ কর্তনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
আসামী পক্ষের হাবুল মিয়ার স্ত্রী সামছুন্নাহার জানান,১৩ জুলাই আমি মদন থানার ওসি মুহাম্মদ মাজেদুর রহমানের কাছে যাই এবং বিস্তারিত ঘটনা বলি এবং ৫ হাজার টাকা দেই কিন্তু তিনি মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। নিরুপায় হয়ে ১৮ জুলাই জেলা পুলিশ সুপারের বরাবর মামলা না নেওয়ার বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছি।
ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান,হত্যা ও লুটপাট উভয় ঘটনার প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে মদন থানার ওসি মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান লুটপাটের সত্যতা স্বীকার করে বলেন,হত্যা মামলার বিপক্ষে লুটপাট মামলা নিলে হত্যা মামলার মোটিভ নষ্ট হয়ে যায় তাই এ ধরণের মামলা নেওয়া হচ্ছে না তবে তাদেরকে কোর্টে মামলা করতে বলেছি। আর যাতে কোন ধরনের ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে পুলিশ সজাগ দৃষ্টি রাখছে।
পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী জানান, বিষয়টি আমি অবগত আছি এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য চালু নেই