মদনে দুই নারী এসিড দগ্ধ হওয়ার সাত দিনেও মামলা হয়নি

আরমান জাহান চৌধুরী, মদন (নেত্রকোনা) : মদনে দুই নারী এসিড দগ্ধ হওয়ার সাত দিনেও থানায় কোনো মামলা হয়নি। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এ এসিড নাটক সাজানো হয়েছে এমন প্রমান উদঘাটন হয়েছে বলে পুলিশ জানান। এসিড দগ্ধ নিয়াশার স্বামী জানু মিয়া জানান, এ ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার ১০ জন কে আসামী করে মদন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। মামলা রজু করার জন্য বারবার থানায় গেলে,ওসি ঘটনাটি মিমাংশা করে নাও এ ধরনের মামালা করে কোন ফায়দা পাবেনা, মামলা করলে এক মাস পরেও করতে পারবে। আমরা গরিব মানুষ,পুলিশের এ ধরনের বক্তব্যে আমরা হতাশায় ভুগছি।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২৪ আগস্ট রাতে মদন উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের কাইটাইল গ্রামের বাগবাড়ীতে নিয়াশা ও মনোয়ারা নামে দুই নারী এসিড দগ্ধ হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১১নং ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ গ্রামের আনছুমিয়ার ৭ম শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়ে সুইটির সঙ্গে এসিড দগ্ধ পরিবার জানু মিয়ার ছেলে হৃদয়ের সঙ্গে প্রেমের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠলে মেয়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশণ করে ।

এ সংবাদ পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়াত উল্লাহ রয়েল, পুলিশ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনা স্থলে পৌছে ছেলে-মেয়ে নাবালক থাকায় বিবাহ বন্ধ করে সাবালক হওয়ার পর বিয়ের আয়োজন করার জন্য এ গ্রামের হারিকুল ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাকি আক্তারের জিম্মায় রেখে যান। এ ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যে জানু মিয়ার ছেলে একই গ্রামের আলী আকবরের মেয়ে সোনিয়া কে বিবাহ করায় আনছু মিয়া লোকলজ্জায় জানু মিয়া,তার স্ত্রী নিয়াশা ও ছেলে এ তিন জনের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা বিজ্ঞ আদালতে নারী ও শিশু আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ।

মদন থানার ওসি মোঃ মাজেদুর রহমান জানান, মূলত উক্ত নারী ও শিশু আইনের মামলা থেকে পরিত্রান পাওয়ার নিমিত্তে উক্ত এসিড নিক্ষেপের ঘটনাটি নিয়াশাসহ তার পরিবারের লোকজন সাজায় । পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এ ধরনের প্রমান পাওয়ায় ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে , এ ব্যাপারে অচিরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

উল্লেখ্য এসিড দগ্ধ চার স্বামীর পরিত্যক্তা জুয়ারি মনোয়ারা ইতি পূর্বে এসিড নাটক করে মাখনা গ্রামের মানিক কে বিয়ে করে ৮০হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে ।



মন্তব্য চালু নেই