ভ্রমণে বমি ভাব দূর হবে নিমিষেই

সময়টা এখন শুধুই ভ্রমণের। পিকনিক বা ঘুরতে যাওয়ার উপযুক্ত সময়ই এটা। ফুরফুরে মন নিয়ে বের হয়েছেন লম্বা ভ্রমণে, কিন্তু বাধ সেধে বসে বমি বমি ভাব। গাড়িতে উঠলেই হঠাৎ করেই বমির ভাব আসে। এটাকে অবশ্য ‘মোশন সিকনেস’ বলা হয়। এছাড়া তেল-চর্বিযুক্ত খাবার, পেটে গ্যাস বা খাবার হজমে সমস্যা হলে প্রায়ই বমি বমি ভাব হয়। বমি বন্ধ করা ওষুধ খেয়েও অনেক সময় কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না। এই বমি বমি ভাব কিংবা বমি করাটা যেমন নিজের জন্য অস্বস্তিকর তেমনি অপরের জন্য বিব্রতকর। অথচ অস্বস্তিকর এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারেন নিজেই। যেমন-

– বমি ভাব দূর করতে সবচেয়ে কার্যকরী ভেষজ ওষুধ আদা। আদা কুচি করে কেটে মুখে নিয়ে চিবুতে পারেন। এতে করে আপনার বমি ভাবটি দূর হয়ে যাবে। যারা ঝাঁজ সহ্য করতে পারেন না, তারা একটু গরমপানিতে আদা সেদ্ধ দিন। এবার ওই পানি মুখে নিয়ে কুলি করলে মুখ থেকে বমির বিচ্ছিরি গন্ধও দূর হয়ে যাবে।

– যখনই বমি ভাব দেখবেন তখনি মুখে এক টুকরা লবঙ্গ রেখে দিন। ধীরে ধীরে চিবুতে থাকুন দেখবেন আপনার মুখ থেকে বমিভাবটি চলে গেছে।

– পুদিনাপাতা বমিভাব দূর করতে দারুণ কার্যকর। পুদিনার রস গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাব দূর করতে বেশি কার্যকরী। তাই গ্যাস্ট্রিকজনিত বমিভাবে পুদিনা পাতা মুখে দিয়ে চিবুতে থাকুন।

– অনেকেই দারুচিনি চিবুতে পছন্দ করেন। দারুচিনি ভারী খাবারের পর খেলে হজমে খুব সাহায্য করে। তাই হজমের সমস্যাজনিত কারণে বমিভাব হলে খেতে পারেন এক টুকরা দারুচিনি।

– অনেকের ক্ষেত্রে টক জাতীয় খাবারের ফলে শরীরের বমিভাব দূর হয়। লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা বমিভাব দূর করতে বেশ কার্যকরী। কিন্তু গ্যাস্ট্রিকজনিত বমির ভাব হলে লেবু না খাওয়াই ভালো। তাছাড়া বমি ভাব হলে লেবুপাতার গন্ধ উপকারে আসতে পারে। কারণ লেবুর পাতা শুকলে বমি বমি ভাব দূর হয়।



মন্তব্য চালু নেই