বার কাউন্সিলের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন
ভোট গ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে বেলা ৫টায়, এখন চলছে গণনা। সুপ্রিমকোর্টের ভোটকেন্দ্রসহ সারা দেশের ৭৮টি ভোট কেন্দ্রে সনদধারী আইনজীবীরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এখন চলছে গণনার পর্ব। সকাল দশটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট সাত ঘন্টা তারা বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। তবে ভোট গণনা রাত কয়টার মধ্যে শেষ হবে তা কেউ নির্ধারণ করে বলতে পারছেন না। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীরা মোট দশটি বুথে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভোট কেন্দ্রে আইনজীবীদের উপস্থিতি কম লক্ষ করা যায়। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি বা পাসপোর্টের ফটোকপি প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা থাকায় অনেকে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেননি। এছাড়া অনেকে ব্যক্তি মামলা নিয়েও আদালতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কম ভোটার উপস্থিতির এটাও একটি কারণ।
এ নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী ইউনুছ আলী আকন্দ জাতীয় পরিচয় পত্রের বাধ্যবাধকতার কারণে নিজেই ভোট দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন।
এদিকে সকাল ১০টার একটু পরে সুপ্রিমকোর্ট বারে স্থাপিত কেন্দ্রে ভোট দেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের সাধারণ আসনে পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।
বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, সরকার সমর্থিত ব্যারিস্টার এম আমিরুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন সাদা প্যানেলের নেতাকর্মীরা ব্যস্ত রয়েছেন ভোট চেয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই প্যানেলের সক্রিয় নেতা অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ খবিরউদ্দিন ভূইয়া ভোট কার্যক্রম মনিটরিং করেন।
কয়েক দফা পেছানোর পর বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচন হলো আজ।
বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের সংগঠন নীল প্যালেন ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের সাদা প্যানেল ছাড়াও অনেক আইনজীবী এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ভিন্ন মতাদর্শের আইনজীবী সংগঠনের ব্যানারে।
নির্বাচনে সংশোধিত ভোটার তালিকা অনুযায়ী সারা দেশের ৪৩ হাজার ৩০২ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন। এর আগে গত ২০ মে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এক আবেদন করা হলে নির্বাচন পিছিয়ে ২৭ মে দিন ধার্য করা হয়। এরপর আবার হাইকোর্টের এক আইনজীবী বার কাউন্সিল নির্বাচন ২০১৫-এর তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করলে শুনানি করে তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের এ আদেশের স্থগিতাদেশ চেয়ে বার কাউন্সিল আপিল দায়ের করলে ভোটার তালিকা হালনাগাদের শর্তে আপিল বিভাগ প্রথমে ১৩ আগস্ট তারিখ ধার্য করে দেন। পরে অ্যাটর্নি জেনারেলের সময় আবেদনে ২৬ আগস্ট নির্বাচনের তারিখ ধার্য করে দেন আপিল বিভাগ।
মন্তব্য চালু নেই