ভারত সফরে বিঘ্নিত হয়েছিল রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের গত ডিসেম্বরে ভারত সফরের সময় তার নিরাপত্তায় ঘাটতি ছিল বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ। ভিআইপি ও ভিভিআইপিদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তামূলক গাড়ী বরাদ্দ থাকলেও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির জন্য ব্যাটারি চালিত সাধারণ গাড়ীতে তাকে আগ্রার তাজমহলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
শুক্রবার ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার অনলাইন খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, সফরের সময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আগ্রার তাজমহলে নেওয়া হয়েছে ব্যাটারিচালিত একটি সাধারণ পরিবহনে। স্থানীয়ভাবে ওই গাড়ি ‘গলফ গাড়ি’ নামে পরিচিত।
ভিআইপি এবং ভিভিআইপিরা তাজমহল পরিদর্শনকালে সাধারণত ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের যে সুবিধা পান, তাকে তা দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া অভিযোগ করা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি আগ্রায় যে হোটেলে ছিলেন সেটির একটি লিফট ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। রাজস্থানে আজমির শরিফ জিয়ারতের সময় সাধারণ মানুষকে নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আগ্রার পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে এবং এ ব্যাপারে উত্তর প্রদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। পরে প্রতিবেদনটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব প্রণব বিশ্বাস উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানের মুখ্য সচিবদের এ ব্যাপারে চিঠি লিখেছেন। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২০১৪ সালের ১৮-২৩ এপ্রিল ভারতে (দিল্লি, জয়পুর, আজমির, কলকাতা ও শান্তিনিকেতন) সরকারি সফর করেন। তার সফর কোনো অঘটন ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। কিন্তু এ সময় কিছু নিরাপত্তা ঘাটতি ছিল বলে জানা গেছে।
আগ্রায় এ ভিভিআইপির সফরের সময় সাধারণ ব্যাটারিচালিত গাড়ি সরবরাহ করা হয়। হোটেল ওবেরয় অমরবিলাসের একটি লিফটও ঠিকমতো কাজ করছিল না। এ ছাড়া চিঠিতে ভবিষ্যতে তাজমহল পরিদর্শন করার সময় ভিআইপি বা ভিভিআইপিদের জন্য ব্যাটারিচালিত সাধারণ গাড়ি ব্যবহার না করে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উত্তর প্রদেশ সরকারের উপসচিব বাবু লাল প্রদেশের উপ-পুলিশ পরিদর্শককে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সফরকালে নিরাপত্তা ঘাটতির বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যায়।
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মন্তব্য চালু নেই