ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে উত্তাল শাহবাগ

প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের বন্ধনটা অন্য যেকোন দেশের চেয়ে একটু বেশীই! দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বন্ধুত্বতো বেশ পুরোনোই। তবে ক্রিড়াঙ্গণে সাম্প্রতিক সময়ে মনস্তাত্তিক লাড়াইটাও বন্ধুত্বের বন্ধনের মতো ততোটা তিক্ত! মূলত গেলো বছর অস্ট্রেলিয়া-নিউলিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্বকাপ থেকেই জোরালো হয় দু’দেশের ক্রিকেট ভক্তদের এ স্নায়ুযুদ্ধ! বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের আগে ভারতীয় সমর্থকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া একটি ভিডিও থেকে এ মনস্তাত্তিক লড়াইয়ের সূত্রপাত।

তার ওপর ওই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে দুই আম্পায়ারের বির্তকিত আম্পায়ারিংয়ে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার পর থেকে দু’দেশের ক্রিকেটভক্তদের মনস্তাত্তিক লড়াইটা আরো বেড়ে যায়। অবশ্যই বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ সফরে এসে নাকানিচুবানিও খেয়েছে ভারত। সেময়ের এক একটি ম্যাচ যেন দু’দলের ক্রিকেটারদের দেশের মানকে বাঁচানোর লড়াই। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তেমনই। ভারতকে হারাতে পারলে যেন বিশ্বকাপই জেতা হয়ে যাবে বাংলাদেশর এমনই মনে করেন টাইগার ভক্তরা।

আজ ব্যাঙ্গালুরুর এম চিন্নস্বামী স্টেডিয়ামে লড়ছে মাশরাফিরা। স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে অনেকে গলা ফাটাচ্ছেন মুস্তাফিজদের হয়ে। কিন্তু যাদের স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার সুযোগ হয়নি তারা দেশের বিভিন্ন স্পটে বড় পর্দা ও টেলিভিশনের সামনে বসে `বাংলাদেশ-বাংলাদেশ` স্লোগানে দূর থেকে বসে সাহস দিচ্ছেন।

বরাবরের মতো আজও বাংলাদেশ-ভারত হাইভোল্টেজ ম্যাচে সাকিব-তামিমদের উৎসাহ যোগাতে উৎসবমুখর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। প্রতিটি হলের টিভিরুমগুলো যেন এক একটি মিনি এম চিন্নস্বামী স্টেডিয়াম। মাশরাফিদের জয় দেখার চেয়ে ভারতের পরাজয় দেখার অধীর আগ্রহের অপেক্ষায় টাইগার সমর্থকরা।

জমজমাট অবস্থা ‘ছাত্ররাজনীতির আঁতুড়ঘর’ হিসেবে পরিচিত মধুর ক্যান্টিনেও। কি নেতা-কর্মী! টাইগারদের খেলা উপলক্ষে সব দূরত্ব ভূলে সবাই গলা ফাটাচ্ছেন বাংলাদেশের সমর্থনে। সাকিব-মুশফিকদের ব্যাটে রানের বন্যা কিংবা মুস্তাফিজের কাটারে বিপর্যস্ত হবে ভারতীয়রা এমনটাই আশা সমর্থকদের। হয়েছেও তেমন ম্যাচের ৬ষ্ঠ ওভারে মুস্তাফিজের বলে রহিত শর্মার পরে সপ্তম ওভারে সাকিবের বলে ধাওয়ানের আউটে খুশিতে আত্বহারা হয়ে ওঠেন টাইগার ভক্তরা।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম জুয়েল বলেন, মাশরাফিদের কাছে কিছুই চাই না শুধু ভারতের পরাজয়টাই দেখতে চাই। তাদের ষড়যন্ত্রের জবাব আমরা টাইগারদের জয় দিয়ে দিতে চাই।



মন্তব্য চালু নেই