ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধ বিষয়ে শুনানি ২৮ জুলাই

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় টিভি চ্যানেল(স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা) বন্ধে জারি করা রুলের শুনানির জন্য আগামী ২৮ জুলাই দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ঠিক করেন।

আদালতে শুনানির দিন ধার্যের জন্য আবেদন করেন অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূইয়া।

এর আগে গত বছরের ১৯ অক্টোবর এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে ভারতীয় এই তিন টিভি চ্যানেল বন্ধে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্টের উক্ত বেঞ্চ।

রুলে তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়।

গত বছরের ৭ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন।

রিটে ভারতীয় সকল চ্যানেল বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারিরও আবেদন করা হয় আইনজীবী একলাস উদ্দিন ভূইয়াঁ জানান, এর আগে ৩ আগস্ট বিকেলে ডাক ও রেজিস্ট্রি যোগে এ বিষয়ে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করা হবে বলে জানানো হয়। ব্যবস্থা না নেওয়ায় আজ রিট করা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২ আগস্ট দৈনিক আমাদের সময় ‘পাখি প্রেমে প্রাণ বিসর্জন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দেশের ঘরে-ঘরে বাড়ছে ভারতীয় ধারাবাহিক নাটকের জনপ্রিয়তা। এসব সিরিয়াল-প্রীতির কারণে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ক্রমেই দর্শক হারাচ্ছে, দেশ হারাচ্ছে নিজস্ব সংস্কৃতি। কিশোরী-তরুণীদের ফ্যাশনেও এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

সর্বশেষ ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল স্টার জলসার ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালের ‘পাখি’র প্রেমে প্রাণ গেল এক যুবক ও মেয়ে শিশুর।’ পাখি চরিত্রে রূপদানকারী তরুণীর পোশাকের অনুকরণে গতবার ‘পাখি’ নামের একটি পোশাক দেশের ঈদবাজারে জমজমাট ব্যবসা করে। ঈদে চড়া মূল্যের এ জামা নতুন স্ত্রীকে কিনে দিতে না পারার ব্যর্থতায় আত্মহত্যা করেছে প্রান্তিক শ্রেণির এক যুবক। ঈদের আগের দিন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের নন্দতেঘরী গ্রামে শাহীন নামের ওই যুবক আত্মহত্যা করেন।’

‘পাখির মরণকামড় থেকে ছাড় পায়নি দশ বছরের শিশুও। পাখি নামের পোশাক না পেয়ে অভিমানে ঈদের দু’দিন আগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নূরজাহান নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।’ বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

একারণেই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে জনস্বার্থে ভারতীয় চ্যানেলে বন্ধ চেয়ে রিট করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই