ভাটারা থেকে মিরপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের আরেক রুট

রাজধানীতে যানজট নিয়ন্ত্রণে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্প শুরু হয়ে গেছে এরই মধ্যে। কিন্তু একটি রুটে রেল চালু করে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা কতোটা সম্ভব-এ নিয়ে প্রশ্নের মধ্যে আরও একটি রুটে মেট্রোরেল চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রাজধানীর ভাটারা থেকে নতুন বাজার হয়ে গুলশান, বনানী হয়ে মিরপুর ১৪ নম্বর দিয়ে মিরপুর-১ নম্বর পর্যস্ত বিস্তৃত হবে মেট্রোরেলের এই রুট। সকালে সচিবালয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় চলমান বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই কথা জানান সড়কমন্ত্রী।

মন্ত্রী জানান, নতুন এই রুটে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। উত্তরা থেকে মতিঝিলের মতো এই প্রকল্পেও অর্থায়ন করবে জাপানি সহায়তা সংস্থা জাইকা এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি।

ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী জানুয়ারিতে জাইকার একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসবে। তখন এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

রাজধানীতে তীব্র যানজটের জন্য যেসব কারণকে দায়ী করা হয়, তার একটি নগরীর পূর্ব অংশের সঙ্গে পশ্চিম অংশের সড়ক যোগাযোগে ভালে ব্যবস্থা না থাকাকে দায়ী করা হয়। এই রুটটি চালু হলে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছেন সড়ক মন্ত্রী।

জাইকা প্রতিনিধি দলের সফরে এই প্রকল্পের পাশাপাশি উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

এরই মধ্যে দেশের প্রথম মেট্রোরেলের কাজ শুরু হয়ে গেছে। গত জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই কাজ উদ্বোধন করেন। মিরপুরের দিয়াবাড়ি এলাকায় ডিপো নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং ২০২০ সালে শাপলা চত্বর পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করছে সরকার। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প নির্মাণ হচ্ছে জাইকার আর্থিক সহায়তায়।

মন্ত্রী জানান, প্রকল্প পরিচালকদের বৈঠকে শুকনো মৌসুমেই সারাদেশে সড়ক সংস্কার কাজ শেষ করা নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, বর্ষা মৌসুমে যেন কোনো সড়ক ভাঙা না থাকে।’

মন্ত্রী বলেন, মহাসড়কে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যেন কোনো যানবাহন চলতে না পারে সে জন্য এক মাসের মধ্যেই মহাসড়কের নির্দিষ্ট স্থানে এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশে সড়ক ভেঙে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত ওজন ‍নিয়ে যানবাহন চলাচলকে দায়ী করা হয়। এই স্টেশনগুলো চালু হলে এই সমস্যার সমাধান হবে বলেও আশা করেন মন্ত্রী।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন সড়ক ও সেতুর টোল আদায়ের বিষয়ে আগামী জানুয়ারির মধ্যে একটি নীতিমালা করবে সরকার। এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। একেক এলাকায় একেক হারে টোল আদায় করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই