ভবন থেকে বোমা নিক্ষেপ, ইন্সপেক্টর আহত

আশকোনায় ঘিরে রাখা ভবনের ভেতর থেকে বোমা নিক্ষেপে পুলিশের এক ইন্সপেক্টর আহত হয়েছেন। আহত বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ইন্সপেক্টর শফি আহমেদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার দুপুর ১২টা ২৪ মিনিটে ওই ভবন থেকে উপর্যুপরি ২টি বোমা নিক্ষেপ করা হলে এ ঘটনা ঘটে। এরপর বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। ভেতরে থাকা এক জঙ্গি শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, চারজন আত্মসমর্পণের পরও তিনজন ভবনের ভেতর ছিল। তারা হলেন জঙ্গিনেতা তানভীর কাদেরীর ছেলে আবির, জঙ্গি ইকবালের সাত বছরের মেয়ে ও পলাতক জঙ্গি সুমনের স্ত্রী।

ভবনের ভেতর থেকে সুমনের স্ত্রী পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করেন। এতে ইন্সপেক্টর শফি আহমেদ আহত হন। এরপর ভবনের ভেতরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণে জঙ্গি ইকবালের মেয়েও আহত হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তিনি আরো জানান, জঙ্গিদের কাছে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক, গোলাবারুদ, রিভলবার, আত্মঘাতী অস্ত্র রয়েছে।

শুক্রবার রাত ২টা থেকে দক্ষিণখানের আশকোনার তিনতলা বাড়ি সূর্যভিলায় অভিযানে রয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। সেখানে রয়েছেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারাও। ঘটনাস্থলে পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট যোগ দিয়েছে। ঘটনাস্থলে রাখা হয়েছে একাধিক ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স।

ঘটনাস্থল থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান জানান, তিনতলা বাড়িটির নিচতলায় জঙ্গি আস্তানা। সেখানে সাতজন ছিলেন। যারা ভেতরে আছে তাদের বারবার আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চারজন আত্মসমর্পণ করে।

আত্মসমর্পণকারী চারজন হলেন মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি প্রাক্তন মেজর জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নাহার শীলা ও তার মেয়ে এবং পলাতক জঙ্গি মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা ও তার ছেলে।

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, আত্মসমর্পণকারীদের কাছে একটি পিস্তল ও গুলি পাওয়া গেছে। যারা ভেতরে আছেন, তাদের আত্মসমর্পণ করতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই