বয়সসীমা ৩৫ দাবির সঙ্গে একমত সরকার দলীয় এমপি
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা।
সোমবার বিকেলে সংসদ অধিবেশনে ব্রাক্ষণবাড়িয়া-২ আসনের এই সংসদ সদস্য অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল কয়েকশ চাকরিপ্রার্থী। এ কারণে গত শুক্রবার বিকাল ৪টা থেকে পৌনে এক ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ ওই চৌরাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে বিক্ষোভকারীদের মূল রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, ‘গত ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নূন্যতম ৩৫ বছর করার দাবীতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় প্রায় পৌনে এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখে।
এরপর তারা জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ করে। চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলের ব্যানারে বড় করে লেখা ছিল ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বয়স বাড়ান, জীবন বাঁচান।’
পুলিশের হস্তক্ষেপে নেতাদের আটক করে অবরোধ সাময়িক থামিয়ে দিলেও বিষয়টি অতীত গুরুপ্তপূর্ণ। সেশনজনট, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নানাবিধ কারণে অনেক চাকরিপ্রার্থীর বয়স পেরিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ফলশ্রুতিতে তারা সরকারি চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। অপরদিকে অনেকে প্রতিভাবান ছেলে-মেয়ে বয়সের কারণে রাষ্ট্রীয় গুরুপ্তপূর্ণ চাকরিপ্রাপ্তিতে থেকে বঞ্চিত হয়। রাষ্ট্রও বঞ্চিত হয় তাদের সেবা থেকে। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। পৃথিবীর অনেকে দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বেশি হলেও আমাদের দেশে ঔপনৈবেশিক আমলের ব্যবস্থাই বহাল আছে।
যার ফলে শিক্ষিত বেকারে দেশ ছেঁয়ে গেছে। অপরদিকে সরকারি দফতরে শূন্য পদের ছড়াছড়ি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জিয়াউল হক বলেন, অবরোধকারীদের প্রশ্ন চাকরিতে অবসর নেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। অথচ প্রবেশের সময়সীমা বাড়বে না কোন যুক্তিতে! অবরোধকারীদের দাবি এখন সময়ের দাবি। আমার মনে হয়, অবরোধকারীদের দাবির প্রতি দল-মত নির্বিশেষে এদেশের সকল মানুষের সমর্থন রয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মন্তব্য চালু নেই