নাটোরে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ৩৭

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় যাত্রীবাহী দুটি বাসের সংঘর্ষে ৩৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো অন্তত ৩০ জন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে কেয়া পরিবহনের একটি বাস ও স্থানীয় অথৈ পরিবহনের বাসের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্সি শাহাবুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা সর্বশেষ ৩২ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পরে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার পর পরই ঢাকা-নাটোর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার বনগ্রাম-হাটিকুমরুল মহাসড়কের রেজির মোড়ে যাত্রীবাহী কেয়া ও অথৈ পরিবহনের দুই বাসের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় বেশ কয়েকজন। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
বনপাড়া মহাসড়ক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফুয়াদ হাসান জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের রেজির মোড়ে কেয়া পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অপর একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ২০ জনের মতো। পরে আরো ১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বড়াইগ্রাম বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম জানান, জীবনের এত ভয়াবহ দুর্ঘটনা কখনও দেখিনি। দুর্ঘটনাস্থলে ৩৭ জনের লাশ দেখেছি। পুলিশ ও উদ্ধারকারীরা ৩৭ টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।
এছাড়া স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বনপাড়ার আমেনা হাসপাতালে নিয়ে গেছে। সেখানেও অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এদিকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও নার্সদের ধর্মঘট চলার কারণে দুর্ঘটনায় হতাহতদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে পুলিশ।



মন্তব্য চালু নেই