ব্রেইন সুইচ পাওয়ার অফ এবং অন করে চিকিৎসা করা যাবে – সায়েন্স জার্নাল
ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী আবিষ্কারের সংবাদ জানালো সায়েন্স জার্নাল। সুইডেনের একদল বিজ্ঞানী গবেষণাগারে ব্যাপক গবেষণা করে আবিষ্কার করেছেন হিউম্যান ব্রেনের পাওয়ার সুইচ অফ করে ব্রেনের জটিল নানাবিধ রোগের ক্ষেত্রে চিকিৎসা করা যাবে, পাশাপাশি আবার সেই সুইচ অন করে ব্রেন পাওয়ার একটিভেট করা সক্ষম বলে জানিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে এপিলেপসি সহ ব্রেন অকর্মণ্য হওয়া, নিউরোসার্জনের নানা জটিল রোগের চিকিৎসা দিতে নিউরোসার্জন এবং চিকিৎসক ও মেডিকেল সাইন্টিস্টরা হিমশিম খাচ্ছিলেন। সেজন্যে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণাও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আজকে সাইন্স জার্নাল সেই অসম্ভবের সুড়ঙ্গের কিনারে আলোর রেখার সূত্রপাত করলো।
২০০৫ সালে স্ট্যানফোর্ডের সাইন্টিস্ট কার্ল ডেইসেরোহা ব্রেন পাওয়ার সুইচ, আলোর রেখার মাধ্যমে অফ অনের আবিষ্কার করলেও বাস্তবে তা প্রয়োগ করে চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে উপযোগী ছিলোনা। বিশ্বের বিজ্ঞানীরা একত্রিত হয়ে ডেইসেরোহার আবিষ্কৃত আলোর মাধ্যমে ব্রেনের কার্যক্রম বন্ধ করে চিকিৎসা দেয়া নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যান।তারা ব্রেন সেল, হার্ট সেল, স্টিম সেল এবং অন্যান্য রেগুলেটেড ইলেক্ট্রনিক সিগন্যাল নিয়েও স্টাডি পেপার প্রকাশ করেন ঐ সময়ে।
কিন্তু ঐ সময়ে দেখা যায় লাইট সেনসিটিভিটি ব্রেনের কার্যক্রম সচলায়তনে যতোটানা কার্যকর ঠিক ততোটাই কম বন্ধ করতে কার্যকর। একদশকের গবেষণার ফলে বিজ্ঞানীরা সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন। ডেইসেরোহার আবিষ্কৃত আলোর মাধ্যমে ব্রেনের সুইচ অফ যেমন করা যাবে, আবার চালুও করা যাবে বলে জানালেন।
প্রফেসর ডেইসোরাহোর টিমের এই ফলাফল নিয়ে সাইন্স জার্নাল বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মেন্টাল হেলথ এর ডাইরেক্টর এবং এই প্রজেক্টর ফান্ড সহায়তা প্রদানকারী থমাস ইনসেল জানালেন, ব্রেনের সুইচ অফ করার মাধ্যমে রিসার্চাররা ব্রেন সার্কিটের, বিহেভিয়ার ও ইমোশনাল ইত্যাদি কার্যক্রম নিয়ে বিস্তর জানার সুযোগ লাভ করবেন।
বিহেভিয়ারিয়েল সাইন্স এবং বায়োইঞ্জিনিয়ারের সিনিয়র প্রফেসর ও এই স্টাডি পেপারের অথর ডেইসোরোহা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করেছিলাম এই ধরনের কিছু আবিষ্কারের জন্য। আমরা খুবই আশান্বিত এই ধরনের লাইট সেনসিটিভিটি দিয়ে ব্রেনের বৃহত্তর অংশ সম্পর্কে আমরা যেমন জানতে পারবো, চিকিৎসাও দিতে পারবো- যা এই পর্যায়ে পরীক্ষাগারে পরীক্ষণের জন্য ইদুরের ব্রেনে চিকিৎসা কার্যক্রম সুরু করা সম্ভব।
এই পদ্ধতি ১০ এমিনো এসিড অপটোজেনেটিক্স প্রোটিন প্রদানে সক্ষম।
ইনসেল আরো জানালেল, এতে উন্নত এই পদ্ধতির সাহায্যে নিউরো-সাইন্টিস্ট ব্রেনের যেকোন সার্কিটে টেকনিক এপ্লাই করে চিকিৎসা প্রদানের জন্য ব্রেন অন অফ করতে সক্ষম হবেন।
সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটি হসপিটালের প্রফেসর মীরাভ কোকাই পিএইচডি জানালেন, এই টুলস ব্যবহারের মাধ্যমে ব্রেন পাওয়ার সুইচ অফের মাধ্যমে এপিল্যাপসী সহ অন্যান্য মারাত্মক রোগের চিকিৎসা ও রিসার্চে ব্যাপক কাজে লাগবে মানুষের ব্রেন জনিত রোগের চিকিৎসা বিজ্ঞানের এ এক নতুন আবিষ্কার।
তিনি আরো জানালেন, প্রাণীজগতের বিহেভিরিয়েল কন্ডিশন জানার জন্য এই স্টাডি যেমন খুবই উপকারী একই সাথে অল্টারনেটিভ চিকিৎসা হিসেবে মানুষের ব্রেন ফাংশন জনিত জটিল রোগের ক্ষেত্রে যেখানে কোন ড্রাগস এর কার্যকারিতা নেই, সেক্ষেত্রে এই টুলসের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদানে সহায়ক হবে, যা শীগ্রই এভেইলেবল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য চালু নেই