ব্রাজিল বিশ্বকাপে গোলবিতর্ক এড়াতে এবার বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার

দিলীপ মজুমদার: ২০১০ সালের বিশ্বকাপ৷ ইংল্যান্ড-জার্মানি ম্যাচ৷ সেখানেই ল্যাম্পার্ডের গোল নিয়ে বিতর্ক৷ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে ল্যাম্পার্ডের শট গোললাইন পার করা সত্ত্বেও গোল দেননি রেফারি৷।বাতিল হয়ে যায় ন্যায্য গোল৷ কিন্তু, রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে যায় সেই ঘটনা৷ আর, গোল-বিতর্কের অবসান ঘটাতেই এবারের বিশ্বকাপে গোললাইন প্রযুক্তির আমদানি৷

কিন্তু কী এই প্রযুক্তি?

এক্ষেত্রে মোট ১৪টি ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়৷ মাঠের দু-প্রান্তে প্রতিটি গোলপোস্টের দিকে লাগানো থাকে সাতটি করে ক্যামেরা৷ যখন বলের পুরো অংশ গোললাইন পার করে গোলপোস্টের ভিতরে প্রবেশ করবে, তখনই একটি ভাইব্রেশন এবং অপটিক্যাল সিগনাল চলে যাবে রেফারির হাত ঘড়িতে, মাত্র এক সেকেন্ডের মধ্যে৷ সেই সঙ্কেত পাওয়ার পরই গোল ঘোষণা করবেন রেফারি৷

গোল বিতর্ক শব্দটিকেই এই প্রযুক্তি চিরতরে নির্বাসনে পাঠাবে বলে ফিফার আশা৷

গোললাইন প্রযুক্তি প্রথম ব্যবহৃত হয় ২০১৩-১৪ সালে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে৷

গোলবিতর্ক দূর এবারই প্রথম বিশ্বকাপে সরকারিভাবে এই প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা৷ ম্যানেজিং ডিরেক্টর অফ গোল কন্ট্রোল, ডার্ক ব্রোয়িশ্চাউসেন দাবি করেছেন, এই প্রযুক্তি গোলকে যেমন নির্ভুল এবং নিশ্চিত বলে প্রমাণ করবে, তেমনই গোলমুখী আক্রমণের বিধিভঙ্গের সঠিক দিকটিও তুলে ধরবে রেফারির সামনে৷



মন্তব্য চালু নেই