ব্যায়াম ও ক্রাশ ডায়েট ছাড়াই ওজন কমাবে ৮টি সহজ কৌশল

পেটের অতিরিক্ত মেদ দেহের সৌন্দর্যকেই নষ্ট করে ফেলে। ভুল খাওয়ার অভ্যাস এবং বাজে ধরনের অভ্যাস এই পেটের মেদ তৈরিতে সহায়তা করে। বাসায় তৈরি করা কিছু আয়ুর্বেদ টিপসে আপনি চাইলে সারিয়ে ফেলতে পারেন এই ধরনের বাজে মেদ।
১. লেবুর শরবত দিয়ে দিনের শুরুটা করুন :

পেটের অতিরিক্ত মেদ নিঃসরণের সহজ উপায় হল আপনি যদি দিনের শুরুটা করেন লেবুর শরবত দিয়ে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে পরিমাণমত লবণ এবং লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খেতে থাকুন। ইতিবাচক ফলাফল আসবেই।
২. সাদা ভাত থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন :

সাদা ভাত পেটে অতিরিক্ত মেদ জমাতে সহায়তা করে থাকে। এ কারণে সাদা ভাতের পরিবর্তে আপনি চাইলে গমের আটার রুটি বা গমের আটার তৈরি অন্যান্য খাদ্য উপকরণ খেতে পারেন। এতে করে আপনার পেটের মেদ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
৩. মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন :

মিষ্টি জাতীয় সব ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকুন। এছাড়া তেলজাতীয় কোনো খাবার এবং ড্রিংকস থেকেও নিজেকে সামলে নিন। তাহলে পেটের মেদ নিঃসরণ করতে পারবেন।
৪. প্রচুর পরিমাণে পানি খান :

বলা হয়ে থাকে যারা মোটা তাদের পানিও দেহের বৃদ্ধির কাজে লাগে। কিন্তু কথাটি পুরোপুরি ঠিক না। আপনি যদি পেটের মেদ নিঃসরণ করতে চান তাহলে দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। পানি দেহের অন্যান্য খাবারের চাহিদা পূরণ করবে পাশাপাশি দেহের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণে রাখবে এবং দেহ থেকে অতিরিক্ত টক্সিন নিঃসরণ করবে।
৫. কাঁচা রসুন খান :

প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ২/৩ কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খাওয়ার পরে এক গ্লাস লেবু পানি খেলে পেটের অতিরিক্ত মেদ খুব দ্রুত হারে কমিয়ে আনে। এটি দেহের রক্ত সঞ্চালন সহজ করে এবং শরীরের মেদ নিঃসরণ করে ফেলে।
৬. নন-ভেজিটেবল খাবার বাদ দিন :

পেটের কমাতে নন-ভেজিটেবল খাবারগুলো যেমন মাছ মাংস আপনার খাবার তালিকা থেকে বাদ দিতে পারেন। এর পরিবর্তে বেশি করে শাকসবজি খান ফলে দেহের কার্যক্ষমতা আরও বেড়ে যাবে।
৭. বেশি করে ফলমূল এবং সবজি খান :

সকালে এবং বিকালে বেশি করে ফলমূল খান। যেগুলো আপনার দেহের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, মিনারেল এবং ভিটামিন পূরণে সহায়তা করে। এতে করে স্বাভাবিক খাওয়ার ইচ্ছাটা এই ফলমূল আর সবজি পূরণ করবে।
৮. রান্নায় কম মসলা ব্যবহার করুন :

অতিরিক্ত মসলা পেটে মেদ জমতে সহায়তা করে। আপনার রান্নায় অন্যান্য মসলা কম করে ব্যবহার করুন শুধু দারুচিনি, আদা এবং গোলমরিচ বেশি করে ব্যবহার করুন। এগুলো বেশ স্বাস্থ্যকর মসসলা কেননা এগুলো দেহে এক ধরনের ইনসুলিন তৈরি করে যা দেহের অতিরিক্ত সুগার নিয়ন্ত্রণে আনে। ফলে মেদ জমতে দেয় না।



মন্তব্য চালু নেই