বেড়েছে তেল ও চিনির দাম

কয়েকদিন আগেও রাজধানীর বাজারে প্রতিকেজি খোলা সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। শুক্রবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০-৮৫ টাকা। অপরদিকে যে চিনি দু’দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৪০-৪২ টাকায়, শুক্রবার তা বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৬ টাকায়।

শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজারে গিয়ে দামের এমন তারতম্য লক্ষ করা গেছে।

এদিকে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব মতে, গত কয়েকদিন আগে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকা থেকে ৭৯ টাকায়, শুক্রবার তা বিক্রি হচ্ছে ৭৬ থেকে ৭৯ টাকায়। এছাড়া যে চিনি বিক্রি হতো ৪০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় তা শুক্রবার বেড়ে দাড়িয়েছে ৪২ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়। সে হিসেবে প্রতি কেজি সয়াবিন তেলে ১ টাকা এবং চিনিতে ৩ টাকা বেড়েছে।

তবে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে শীতকালীন বেশিরভাগ পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, স্বামীবাগ, কাপ্তানবাজার, সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ২৫ থেকে ৩৫ টাকায়, সাদা গোলাকার বেগুন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, নতুন কাঁচা টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকায়, গাজর ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, শশা ১৫ থেকে ২৫ টাকায়, করলা ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়, ঝিঙে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, পটল ৩৫থেকে ৪০ টাকায়, কাকরোল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, ঢেঁড়স ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, উচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, পেঁপে ২০ থেকে ২৫ টাকায়, জলপাই ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, ধুন্দুল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, বরবটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়, কচুর ছড়ি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, লতি ৩০ ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সাদা গোল আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। এ ছাড়া প্রতিকেজি নতুন গোল আলু ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতিটি বড় লাউ ৪০ টাকা এবং ছোট লাউ ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি ছোট কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং বড় কুমড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে পেঁয়াজের দাম আরেক দফা কমেছে। মানভেদে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মানভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতিকেজি দেশি রসুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি আদা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি হাঁসের ডিম ৪৪ ‍টাকায় বিক্রি হচ্ছে।পাইকারি বাজারে ব্রয়লার মুরগির একশ ডিম ৮২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকায় (একশ)।

বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি (সাদা) বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা ১৪০ টাকা। বাজারে ব্রয়লার মুরগি (লাল) ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গরুর ‍মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৩৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬২০ টাকায়।



মন্তব্য চালু নেই