সংকট সমাধান না করে তালা ভাঙায়

বেরোবির সমন্বিত অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ এর নিন্দা

শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পুলিশের সহায়তায় প্রশাসনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের তালা কেটে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষক- শিক্ষার্থী , কর্মকর্তা- কর্মচারির সমন্বয়ে গঠিত ‘সমন্বিত অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ’।বুধবার পৌনে ১টায় গণ অবস্থান মঞ্চ থেকে একটি বিক্ষোভ র‌্যালী বের হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

এ আলোচনায় বক্তব্য উপস্থাপনকালে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আর এম হাফিজুর রহমান সংকট নিরসনে শিক্ষক সমিতির সাথে আলোচনা না করে গত রবিবার প্রশাসনের উদ্যোগে তালা কেটে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন খুলে দেওয়ায় সেই দিনটিকে ‘কালো দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।এ সময় উপাচার্যের অন্যান্য কাজের সমালোচনাও করা হয়।এতে উপাচার্যের অপসারনে আন্দোলনকারি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে উপাচার্যের পক্ষ থেকে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া শিক্ষকদের পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য করা হয়।পদত্যাগপত্র ফিরিয়ে নিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্তের বিষয়ে আজ বুধবার অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভাটি অনিবাহ্য কারনবশত স্থগিত করা হয়েছে বলে গতকাল রাতে সমিতির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

আপনারা কবে ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন এ প্রশ্নের উত্তরে সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমান সেলিম জানান,ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে আমাদের সাধারণ সভার আলোচ্য বিষয় ছিল না।তিনি এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,উপাচার্য পুলিশের সহায়তায় তালা কেেেট একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবন খুলে দেওয়ার আগে আমাদের সাথে কথা বলার প্রয়োজন ছিল।তিনি আমাদের সাথে কথা না বলেই এ কাজটি করেছেন।এরপর কবে সাধারন সভা হবে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে আগামীকাল শিক্ষক সমিিিতর নির্বাহী বৈঠকে ঠিক হবে বলে জানান।এ সময় তিনি ক্লাস পরীক্ষা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও কবে নিবেন তা স্পষ্ট করে জানান নি।

এর আগে গত রবিবার উপাচার্য তাঁর বাসভবনে সাংবাদিকদের এক পশ্নের জবাবে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া শিক্ষকরা পদত্যাগপত্র উঠিয়ে না নিলে অন্যান্য শিক্ষকদের দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানান।এ সময় উপাচার্য সব শিক্ষকদের সাথে আলোচনাা করে সংকট সমাধানের কথাও জানান।

অন্য দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী পন্থি শিক্ষক সমাজের নীলদলের আপেল মাহমুদ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন,আমরা আশায় ছিলাম এই সাধারণ সভার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে সমাধান হবে।সাধারণ সভাটি না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা কিছুটা ক্ষতির মধ্যে পড়বে।

উল্লেখ্য এর আগে উপাচার্য এবং উপাচার্যের অপসারণে আন্দোলনকারিদের মধ্যে সমঝোতার জন্য গত ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হয়ে রংপুর ৫ আসনের সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমান রংপুর সার্কিট হাউজে সাড়ে ৪ ঘন্টাব্যাপী এক আলোচনা করেন।

তবে উভয়ই তাঁদের একতরফা সিদ্ধান্তে অনঢ় না থাকলে তা ভেস্তে যায়।এর আগেও চলমান সংকট নিরসনে রংপুরের ডজনখানেক সংগঠন উভয়কেই আল্টিমেটাম সহ জোর চাপ প্রদান করলেও কোনো কাজ হয়নি।

গত রবিবার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে এনে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার উদ্দেশে তালা কেটে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন খুলে দিলেও শিক্ষক সমিতির আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।আজও ২১ দিনের মত গণ অবস্থান অব্যাহত রয়েছে।আজও কয়েকটি বিভাগের সীমিত সংখ্যক ক্লাস হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই