আজও রাষ্ট্রীয় ভাবে উপেক্ষিত...

বীরত্ব গাঁথা মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম

ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম দেশের একমাত্র ব্যক্তি যিনি কোন নির্বাচিত প্রতিনিধি না হয়েও ১৬শ’ মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা ও এক লাখ শরর্ণাথীর থাকার জায়গাসহ খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন । মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় বৃহত্তর রংপুরকে নিয়ে ভারতের শীতলকুচিতে অবস্থিত নর্থ জোনের যুব প্রশিক্ষণের প্রধান ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় লালমনিরহাটের সাথে হাতিবান্ধার রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের লক্ষ্যে ভোটমারী ভাকারি ব্রীজ উড়িয়ে দেয়া হয়েছিল তারই নেতৃত্বে। সেই বীরত্ব গাঁথা ব্যক্তিটি আজও উপেক্ষিত স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। স্বাধীনতা কিংবা বিজয় দিবসের মতো রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে এখন আর ডাক পড়ে না মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলামের।
১৯৪৮ সালের ৩ ফেব্র“য়ারি লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি গ্রামে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহন করেন নজরুল ইসলাম। পিতা নুরুল ইসলাম, মা মতিয়ন নেছা।
তার ৭১’র যুদ্ধকালীন ডায়ারী থেকে জানা গেছে, ২৪ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আবার পিছেয়ে যায়, ২৫ মার্চ তিনি তার ডায়ারীতে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে উল্লেখ করে লেখেন, ওহফবঢ়বহফবহপব ফধু ভড়ৎ ইধহমষধফবংয। তিনি ২৪ মার্চ থেকে তার ডায়ারীতে পাকিস্তানের স্থলে “বাংলা দেশ” লেখা শুরু করেন। আরও জানা যায়, ৩১ মার্চ বিভিন্ন স্থান থেকে রাইফেল, মেশিনগান, ব্রেনগান, ২, ৩ ও ৬ ইঞ্চি মর্টার, অটোমেটিক এম সি, মুক্তিযুদ্ধ প্রচারের জন্য রেডিও ট্রান্সমিটার, হ্যান্ডগ্রেনেড, ও পিস্তল সংগ্রহ করেন।
তিনি আক্ষেপের সাথে বলেন, কে বা আর এখন স্মরণ রাখে আমার কথা। এখন স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসের মতো মহান দিনগুলোর রাষ্ট্রীয় কর্মসূচীতে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে আমাকে কেউ ডাকেন না। যদিও ডাকে তাও স্থানীয় শিশু নিকেতনের অধ্যক্ষ হিসেবে। তাই আমি নিজের মতো করে শহীদ মিনারে যাই এবং ঘরে ফিরে এসে স্মরণ করি সেই দিনগুলি। নানা জটিলতার কারনে যুদ্ধকালীন তার সহযোগিদের অনেকেই এখনও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না পাওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ। রাষ্ট্রের কাছে তার দাবি, জীবনের শেষ ক্ষণে সকল সহযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে দেখতে চান তিনি।
imagesহাতীবান্ধা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফজলুল হক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য উৎসাহিত করার পাশাপাশি ভারতের শীতলকুচিতে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি পাকিস্থানি পতাকা পুড়িয়ে হাতীবান্ধার ডাকাবাংলা মাঠে প্রথম বাংলার পতাকা তুলেছিলেন। এছাড়াও যুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তানী সেনাদের প্রবেশে বাঁধা দিতে তার নেতৃত্বে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলপথের অন্যতম ভাকারি ব্রীজটি উড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে তার এই অনন্য অবদান দেশ ও জাতি কখনই ভুলবে না।
সুত্র মতে, ১৯৭১ সাল, নজরুল ইসলাম রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে শেষ বর্ষের ছাত্র। সে সময় স্বাধীনতাকামী ছাত্র-জনতার রক্ত টকবগ করছিল স্বাধীনতার নেশায়। নজরুল ইসলাম সহপাঠিদের নিয়ে রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৩ মার্চ বাংলার পতাকা তোলেন। এরপর শতাধিক ছাত্রের মিছিল নিয়ে ঢুকে পড়েন রাজশাহী শহরে। সেই মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। গুলি এসে লাগে তার পাশে থাকা দেয়ালে, এ সময় দেয়ালের একটি ইটের টুকরা তার পায়ে লেগে আহত হন এবং অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। ওই মিছিলে পুলিশের গুলিতে কয়েকজন নিহত হয়েছিল। বন্ধ ঘোষণা করা হয় কলেজ, দেয়া হয় হল ছাড়ার নির্দেশ। ৫ মার্চ বাধ্য হয়ে ফিরে আসেন নিজ বাড়ি হাতিবান্ধায়। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষন একদিন পর ৮ মার্চ রেডিওতে বেলা ১২ টার দিকে শুনতে পান নজরুল ইসলাম। সেই ভাষন শোনার পর ৯ মার্চ হাতীবান্ধা ডাকবাংলো মাঠে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন হয় তার নেতৃত্বে। ১০ মার্চ হাতীবান্ধা সংগ্রাম পরিষদের সেক্রেটারি হয়ে মুক্তির সংগ্রামে অংশ নিতে স্থানীয় ছাত্র যুবকদের উৎসাহিত করেন। এরপর ১৯৭১ এর ২৭ মার্চ বৃহত্তর রংপুরের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে পার্শ্ববর্তী ভারতের কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে প্রবেশ করে জনসংযোগ শুরু করেন নজরুল ইসলাম। ভারতের সহায়তায় হাতীবান্ধার স্থানীয় যুবক আর আনসারদের নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করেন তিনি। এরপর সেই নর্থ জোনে আসতে শুরু করে রংপুর দিনাজপুরের লাখো শরণার্থী। সেই জোনের চেয়ারম্যান হন তৎকালীন পীরগঞ্জ-মিঠাপুকুর এলাকার এমএনএ ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন মতিউর রহমান। তিনিই নজরুল ইসলামকে সনদ দেন নর্থজোনের ইনচার্জ হিসেবে। ওই সময় এদেশীয় রাজাকাররা তার মাথার বিনিময় মূল্য নির্ধারণ করেছিল ১ লক্ষ টাকা এবং বাড়াইপাড়ায় তার গ্রামের বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় রাজাকাররা ।
imappoi২৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ প্রেরিত নর্থজোনের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান স্বাক্ষরিত ওই সনদে বলা হয়েছে, যুদ্ধকালীন সময়ে ভারতের কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে অবস্থিত ইয়ুথ ক্যাম্পে এক হাজার ছয়শ’ মুক্তিযোদ্ধাকে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেছেন নজরুল ইসলাম। নর্থজোনের চেয়ারম্যান তাকে সেখানকার ইনচার্জ হিসেবে সনদে উল্লেখ করে তার মঙ্গল কামনা করেছেন। তখনকার টগবগে যুবক নজরুল ইসলাম শুধু মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবেই কাজ করেননি। তার স্বাক্ষরিত কাগজের মাধ্যমে ভারতে প্রায় এক লাখ শরণার্থীর থাকার জায়গাসহ রেশনের ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। এমনকি দেশ ও  মাতৃভূমির স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে বিস্ফোরণ বিষয়ে মাত্র দুই ঘন্টার প্রশিক্ষণ নিয়েই রণাঙ্গনে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়ে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলপথের ব্রীজ উড়িয়ে দেওয়ার অভিযানে ১৮ সদস্যের ইপিআর টিমের নেতৃত্ব দেন তিনি।
সেদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ৬৭ বছর বয়সী ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ৬ নং সেক্টরের অধীন যুদ্ধ হয় এখানে। ১৯৭১ সালের জুন মাসের মাঝামাঝি সময় শীতলকুচি ইয়ুথ ক্যাম্প থেকে ভারতীয় ফুলবাড়ি ক্যাম্পে হঠাৎ ডাক পড়ে তার। সেখানে ইপিআর ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ২৪ জনের দুটি দল গঠন করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল পাক সেনাদের অবাধ প্রবেশে বাঁধা দিতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা সংলাগ্ন ভোটমারী এলাকায় ও হাতীবান্ধার বড়খাতা এলাকায় রেলপথের প্রধান দুটি ব্রীজ উড়িয়ে দেওয়া। অপারশেনের সময় নির্ধারণ করা হয় রাত দুইটা। ফুলবাড়ি ক্যাম্প থেকে ছয় সদস্যের একটি দল রওনা হয় বড়খাতা অভিমুখে। আর ১৮ সদস্যের দলটির সাথে তিনি রওনা হন ভোটমারীর দিকে। মাথার উপর টিপটিপ বৃষ্টি নিয়ে চলা তার দলটি হাতীবান্ধার কারবালার দিঘী নামক এলাকায় এসে হতাশ হয়ে পড়ে। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, ভোটমারীর সেই ভাকারি নামক বড় রেল ব্রীজের অদূরে কালীগঞ্জ উপজেলায় ক্যাম্প ছিল পাক সেনাদের। ১৮ সদস্যের দলটি অপারেশন পরিচালনা না করেই ফুলবাড়িতে ফিরে যান বৃহস্পতিবার ভোর বেলা।
এই অবস্থায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্ণেল সিং ও বিএসএফের ক্যাপ্টেন মৈত্রী নামিকে ইপিআরদের মনোবল হারানোর কারণ উল্লেখ করে তিনি নতুন ভাবে অপারেশনে যাওয়ার প্রস্তুতির নির্দেশ চান। তার কথা মতো পর দিন শুক্রবার দিবালোকেই ফের অপারেশনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এবার ১৮ সদস্যের ওই টিমের নেতৃত্ব দেওয়া হয় ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলামকে। নেতৃত্ব কাঁধে নিয়ে তিনি দলের সাথে থাকা বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র দু’টি মহিষের গাড়িতে করে পাঠান ঘটনাস্থলে। আর দলের সদস্যরা সবাই দু’জন করে বিভক্ত হয়ে সেখানে উপস্থিত হন। এরপর তার নির্দেশে দ্রুত সেই রেলব্রীজে ডিনামাইন্ড সেট করা হয়। শুক্রবারের জুম্মার নামায শেষে হয়েছে মাত্র। আর তখনই বিকট শব্দে  উড়ে যায় ভোটমারীর ভাকারি রেলব্রিজ। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রেলপথ।
নজরুল ইসলাম জানান, ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তান রেডিও নানা অপপ্রচার শুরু করেছিল। তাই তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল চাঙ্গা করতে মুক্তিযুদ্ধের সফলতা প্রচারে এলাকায় এলাকায় ‘সংবাদ বুলেটিন’ নামে লিফলেট বিতরণ করেছিলেন। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের সফলতাকামী মানুষজন অনুপ্রেরণা খুঁজে পায় সেই সংবাদ বুলেটিন এর মাধ্যমে। যুদ্ধকালীন সময় যে খরচ হয়েছে তার অধিকাংশ অর্থ তিনি যোগার করেছেন হাতীবান্ধা উপজেলার দইখাওয়া হাট থেকে।
১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের শুরু থেকে ধীরে ধীরে হানাদারমুক্ত হয় লালমনিরহাট জেলা। মুক্তিযোদ্ধাদের একের পর এক অপারেশনে পালাতে শুরু করে পাকিস্তানী আর্মি। সেই সাথে ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের আত্মসমর্পনের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
এরপর স্বাধীন বাংলাদেশের গণর্পূত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন নর্থবেঙ্গল জোনের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান। তার সম্পর্ক বলতে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বলেন, মতিউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। সেই সুবাধে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিয়েও মতিউর রহমান তার এলাকার ছেলে ড. ওয়াজেদের সাথে দিয়েছিলেন।
যুদ্ধ শেষে নর্থ জোনের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান স্বাধীন বাংলার মন্ত্রী হওয়ায় তিনি নজরুল ইসলামকে হাতীবান্ধার অবহেলিত জনপথের জন্য ব্যাংক, সাব-রেজিষ্ট্রী অফিস থেকে শুরু করে বিদ্যালয় নির্মাণসহ অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ডে সহযোগিতা করেন। মাঝে মধ্যে নজরুল ইসলামকে বঙ্গবন্ধু সাথে দেখা ও কথা বলারও সুযোগও করে দিয়েছিলেন তিনি। এমন অসংখ্য স্মৃতি আজ মনে পড়ে মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার নজরুল ইসলামের।
6-december picসেই সময় পড়াশোনা শেষ করে কিছুদিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সরকারি চাকুরিও করেন নজরুল ইসলাম। পরে জনগনের চাপে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন। বর্তমানে তিনি হাতীবান্ধা শিশু নিকেতনের অধ্যক্ষ। স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু থেকে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন এবং তিনি হাতীবান্ধা আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব নিয়ে তা ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত পালন করেন। ৭৭ এর পরে ১৯৮৬ পর্যন্ত দলটির সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।  ছিলেন তৎকালীন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক। আর ২০১৩ সাল পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু এখন আর দলে ডাক পড়ে না তার।
দীর্ঘদিন পর হলেও যুদ্ধপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় বেশ খুশি তিনি। তিনি বলেন, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ-এই চার মূলনীতি নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম। এই চার মূলনীতি আজও সফল হয়নি বলে জানান তিনি। তার মতে, এই চার মূলনীতি যতোদিন না বাস্তবায়িত হবে, ততোদিন আমাদের দেশের মানুষ প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহন হতে বঞ্চিত থাকবে। তিনি বলেন, অনৈক্যই আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা। জাতি হিসেবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পাকিস্তানের শোষন মুক্ত, দুর্নীতি মুক্ত হতেই আমরা আমাদের দেশকে স্বাধীন করেছি। লাখ লাখ শহীদের রক্ত ও হাজার হাজার মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া বাংলাদেশ এগিয়ে নিয়ে যেতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন উত্তর জনপদের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম।



মন্তব্য চালু নেই