বিয়ে করাই রুমার নেশা ও পেশা !

বয়স তার ২৫। নাম রুমা আক্তার। এই বয়সেই তিন স্বামীকে ত্যাগ করে চতুর্থ স্বামীর ঘরে সংসার করছেন পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের বাসিন্দা ফোরকান মৃধার মেয়ে রুমা। বিয়ের পর কিছুদিন সংসার করে স্বামীকে স্বর্বশান্ত করাই যেন তার পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আকর্ষণীয় চেহারায় আকৃষ্ট হয়ে সব হারাচ্ছেন রুমার প্রতারণার শিকার হওয়া পরিবারগুলো।

বর্তমানে রুমা খলিশাখালী এলাকার মোতাহার হাওলাদারের ছেলে বিদেশ ফেরত ছেলে মানিকের সঙ্গে সংসার করছেন। মানিক রুমার চতুর্থ স্বামী।

রুমার প্রথম স্বামী আমতলীর শাখাঁরিয়া এলাকার টিপু হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, শাখারিয়া বাজারে আমার একটি স্টুডিওর দোকান আছে। একদিন ছবি তোলার জন্য রুমা ও তার মা ইয়াছমিন আক্তার আমার দোকানে আসেন। এ সময় রুমার মা আমাকে বোনের ছেলে বলতে শুরু করেন। সেই থেকে রুমার সঙ্গে আমার ঘনিষ্টতা শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে রুমার পরিবারের চাপে ২০০২ সালে রুমাকে বিয়ে করতে বাধ্য হই।

বিয়ের তিন বছর পর রুমা আমার বাড়ি থেকে দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করা তার খালার বাসায় যায়। এ বিষয়ে এলাকার মুরিব্বিদের নিয়ে শালিস বৈঠক করতে চাইলে রুমার মা তাতে রাজি না হয়ে আমাকে তালাকনামা পাঠিয়ে কাবিনে উল্লেখ করা মোহরানার তিন লাখ টাকার দেড় লাখ টাকা আদায় করে নেয়।

পরে ঢাকায় খালার বাসায় থাকার সময় অবিবাহিত সেজে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সৌরভ নামে সামপুর এলাকার এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তাকে বিয়ে করেন।

এক বছর সংসার করে প্রতারণার মাধ্যেমে সৌরভের টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে রুমা চলে আসেন আমখোলা ইউনিয়নের বাদুরা হাট সংলগ্ন তার বাবার বাড়িতে। এটাই তাদের পারিবারের পেশা বলে জানান রুমার প্রথম স্বামী টিপু।

টিপু আরও জানান, বাপের বাড়ি এসে রুমা বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে ফোনালাপ শুরু করেন। এবার রুমার ফাঁদে পাঁ দেন একই এলাকার জামাই শামিম। শামিম ছিল বিবাহিত। দীর্ঘদিন ধরে চলে তাদের পরকীয়া প্রেম।

একপর্যায়ে এলাকায় ঘটনাটি জানাজানি হলে রুমাকে বিয়ে করার জন্য রুমার পরিবার শামিমকে চাপ দিতে থাকে। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করার হুমকি দেয় রুমা। এই ভয়ে শামিম প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়ে রুমাকে বিয়ে করেন। এরপর বরিশাল সাগরদী এলাকায় দুজনে শুরু করেন নুতন সংসার।

রুমার তৃতীয় স্বামী শামিম জানান, বিয়ের পর রুমা বায়না ধরলে তাকে বরিশাল মডেল টেকনিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। ২০১৪ সালে এইচএসসি পাশ করে রুমা। বেশ ভালোই চলছিল দুজনের সংসার।

বিয়ের চার বছর পার করার পর শামিমের সংসারেরও ইতি টানেন রুমা। স্বামীর অনুপস্থিতে বাড়িতে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে আমখোলার বাড়িতে চলে যায় সে।

এরপর শামিমকে তালাক না দিয়ে রুমা চতুর্থ স্বামী হিসাবে মানিককে বিয়ে করে।

বিয়ের পর রুমার সব ঘটনা জানতে পারে ৪র্থ স্বামী মানিক ও এলাকাবাসী। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে রুমার এ প্রতারণার শেষ কোথায়?



মন্তব্য চালু নেই