বিয়ের বয়স কমালে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হবে

আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে বাংলাদেশের উচিৎ হবে না মেয়েদের বিয়ের বয়স কমিয়ে আনা এবং তা হবে ‘একটি ভুল পদক্ষেপ’। বাল্যবিয়ে রোধ করতে মেয়েদের বিয়ের বয়স কমাতে সরকারের উদ্যোগের ব্যাপারে এ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ(এইচআরডব্লিউ)।
সংস্থাটির নারী অধিকার বিষয়ক প্রধান লিজেল গেনহলজ্ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বাংলাদেশের মেয়েদের বিয়ের বয়স আইনি প্রক্রিয়ায় কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হবে একটি ভুল পদক্ষেপ। ছেলে-মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই বিয়ের বয়সসীমা হওয়া উচিৎ ১৮ বছর।’
২০১৪ সালের জুলাই মাসে লন্ডনে অনুষ্ঠিত কন্যাশিশু সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাল্যবিয়ে রোধে মেয়েদের বিয়ের বয়সসীমা কমিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছিলেন। এইচআরডব্লিউ এর মতে, বাংলাদেশ যদি এই সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে তারা আন্তর্জাতিক আইন থেকে সরে আসবে। জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী ১৮ বছর বয়সেই শৈশব শেষ হয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক অধিদপ্তরের মতে, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। দেশটির প্রায় ৭৪ শতাংশ নারী ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগেই বিয়ে হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বয়সসীমা কমালে নারী-পুরুষের বৈষম্য আরো বাড়বে।
এছাড়াও বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলে-মেয়ে উভয়পক্ষের সম্মতির বিষয়টি নিশ্চিত করা এবং দাম্পত্য ধর্ষণের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া ও অপরাধের শিকারদের আইনি সুরক্ষা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করারও সুপারিশ করেছে এইচআরডব্লিউ।
এদিকে বাংলাদেশ সরকার বাল্যবিয়ে বন্ধের জন্য দুই বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রেখে নতুন আইন পাস করার প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই