বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়ীতে প্রেমিকার অবস্থান

হামিদা আক্তার, নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রেম মানে না ভালো মন্দ, মানে না ধনী কিংবা গরীব। প্রেমেই স্বর্গ,প্রেমেই নরক, প্রেম যেন এক অফুরন্ত ভালোবাসার আশ্রয়স্থল। কিন্তু ভালোবাসার মানুষটি যদি প্রেমের নামে করে ছলনা কিংবা প্রেমের অভিনয়ে কেড়ে নেয় সর্বশ্ব, তাহলে কোথায় ঠাঁই হবে ভালোবাসার। এমনি একটি ঘটনার উৎভব হয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই বালাপাড়া (চাকদাবাস) গ্রামে। বিয়ের দাবীতে প্রেমিকা স্কুল ছাত্রী গত দুই দিন ধরে তার প্রেমিকের বাড়ীতে অবস্থান করলেও কোন কুল কিনারা খুঁজে পায়নি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে ঘটনাস্থল উক্ত গ্রামের আজিজুল ইসলামের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় একই গ্রামের রমজান আলীর ¯কুল পড়–য়া খগাখড়িবাড়ী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী তানজিনা আক্তার (১৬) বিয়ের দাবীতে অবস্থান করছে প্রেমিকের বাড়ীতে। এ সময় ঐ ছাত্রীর সাথে কথা হলে সে সংবাদকর্মীদের জানায়, আজিজুল ইসলামের ছোট ছেলে মফিজুল ইসলাম আমার সাথে দীর্ঘ দুই বছর ধরে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। সে থেকেই সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুৃলে। আমি দীর্ঘদিন ধরে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে বিভিন্ন ভাবে তাল-বাহানা করতে থাকে। গত ১১ ডিসেম্বর রোববার সন্ধায় মফিজুল আমাকে তার বাড়ীতে ডেকে আনে বিয়ে করবে বলে। কিন্তু সে আমাকে তার বাড়ীতে রেখে কোথায় হারিয়ে যায় তা আমি জানি না। এ ঘটনায় ঘটনার দিন রাত আনু: দেড় টায় স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিজার রহমান তানজিনাকে ছেলের বাড়ী থেকে নিয়ে তার নিজ বাড়ী (রমজান আলী)’র বাড়ীতে পৌছে দেয় স্থানীয় মিমাংশার কথা বলে। এ ঘটনার পর থেকে বিষয়টি ভিন্ন ভাবে প্রভাবিত হলে প্রেমিক মফিজুলের চাচাতো ভাই ও দুলাভাই মেয়ের বাড়ীতে যায় বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনার করতে। বিষয়টি মিমাংশা না হওয়ায় তাদেরকে রমজান আলীর বাড়ীতে আটক করে রাখা হয় প্রায় ১২ ঘন্টা। কোন ভাবেই তাদেরকে উদ্ধার করতে না পেরে মফিজুলের চাচা ডিমলা থানায় অভিযোগ দায়ের করায় ডিমলা থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে থানা পুলিশের উপস্থিতির মাত্র ৫ মিনিট পূর্বে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরে ইউপি সদস্য আজিজার রহমানকে মেয়ের পরিবারের লোকজন চাপ দিতে থাকলে মেম্বার মেয়েটিকে আবারও সোমবার দিনগত রাতে মফিজুল ইসলামের বাড়ীতে রেখে আসে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে মফিজুল এর বাবা আাজিজুল ইসলাম জানান, আমি অসুস্থ্য মানুষ প্যারালাইসেস রোগী। মেয়েটিকে দিয়ে আমাকে হয়রানী করার চেষ্টা চলছে। দেখি বিচার-শালিশে কি হয়। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য স্বীকার করে বলেন, আমি যেহেতু মেয়েটিকে তার বাবার বাড়ীতে পৌছে দিয়েছি ঘটনার মিমাংশা না হওয়ায় আবারও মেয়েটিকে তার প্রেমিকের বাড়ীতে পৌঁছে দিয়েছি। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হলে বিষয়টি মিমাংশা জন্য আবারও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা মিমাংশার জন্য চেষ্টা করছে বলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। এ রিপোর্ট লেখা (১৩ ডিসেম্বর ৫ ঘটিকা) পর্যন্ত বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংশার জন্য সালিশ-বৈঠক ডেকে মফিজুল এর বাড়ীতে সংরক্ষিত আসনের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য, নারী নেত্রী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সকলেই বৈঠকে বসেছেন বলে জানিয়েছে স্থানাীয় একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র।



মন্তব্য চালু নেই