বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্যতথ্য নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে

ডিএইচআইএস সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্যতথ্য নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত মহিলা সংসদ সদস্য বেগম হাজেরা খাতুনের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের ইলেকট্রনিক তথ্যভাণ্ডার, দেশভিত্তিক স্বাস্থ্য মানবসম্পদ তথ্যভাণ্ডার, জিও-লোকেশন তথ্যভাণ্ডার, হাসপাতাল অটোমেশনের জন্য ওপেন এমআরএস সফটওয়্যার চালুসহ জনস্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য ডিএইচআইএস সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বাস্থ্যতথ্য নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে।

দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্য উপাত্তভিত্তিক একটি ইলেকট্রনিক তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার জন্য গ্রামপর্যায়ে বসবাসকারী সব নাগরিকের তথ্য সম্বলিত ডাটাবেজ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন এই ডাটাবেজভিত্তিক লাইফ টাইম শেয়ার পোর্টেবল সিটিজেনস ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ড তৈরির কাজ চলছে।

মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের প্রশ্নোত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধীন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদিত মেডিক্যাল ডিভাইস গাইডলাইন অনুযায়ী ইতোমধ্যে অনেক হার্টের রিং বা করোনারি স্টেন্ট-এর রেজিস্ট্রেশন প্রদান করেছে এবং এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

রেজিস্ট্রেশনকৃত সব হার্টের রিং-এর মূল্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। হার্টের রিং-এর মূল্য পরিস্থিতির ওপর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নিয়মিত মনিটরিং-এর ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। কোনো ব্যবসায়ী বা হাসপাতালের কোনো ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে হার্টের রিং বিক্রির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই