‘বিশ্বব্যাংকের অবহেলামূলক অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে’

বিশ্ব দারিদ্র্য বিমোচন দিবস উপলক্ষে আজ রোববার ঢাকায় আসছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। প্রায় এক দশক পর বিশ্ব ব্যাংকের কোনো প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে আসছেন। কাছাকাছি সময়ে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কে এক ধরনের তিক্ততা তৈরি হয়েছে। নানা দেন-দরবারের পর পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তা ছাড়াই বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশে। বিশ্বব্যাংকের সাথে সম্পর্কের টানাপোড়েনের পর বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বব্যাংকের শত্রুতামূলক ও অবহেলামূলক অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে’ বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ।

তিনি বলেন, একসময় উন্নয়ন বাজেটের পুরোটাই যেখানে বিশ্বব্যাংক থেকে আসতো, বাংলাদেশ বহু আগেই সেখান থেকে সরে এসে এখন প্রমাণ করেছে যে বিশ্বব্যাংককে ছাড়াই তারা এগিয়ে যেতে পারে। বর্তমানে বিশ্বব্যাংক তাদের সহায়তার সাথে যদি এখন আগের মত খুব বেশি শর্ত জুড়ে দেয় তবে বাংলাদেশের জন্য চীনের এশিয়া ইনফ্রাস্টাকচার ব্যাংক বা জাপানের এডিবির কাছে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন অধ্যাপক এম এম আকাশ। এমন সময়ে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সফরকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অধ্যাপক আকাশ বলছেন, বিশ্বব্যাংক চাইবে বাংলাদেশে তাদের কৌশল চাপিয়ে দিতে।

এর আগে বাংলাদেশের পানি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পগুলোর যে বিপরীত প্রতিক্রিয়া হয়েছিল এবং কৃষিতে ভর্তুকি প্রত্যাহাররে জন্য তারা যে চাপ দিয়েছিল তা ভুল প্রমাণিত হওয়ায় তার ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাংকের সাথে শক্তভাবে দেন-দরবার করতে পারছে বলে মনে করেন অধ্যাপক আকাশ। আজ রবিবার থেকে শুরু হওয়া মি. কিমের তিন দিনের সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সাথে দেখা করবেন বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে ঢাকায় একটি গণবক্তৃতাও দেবেন কিম।-বিবিসি বাংলা



মন্তব্য চালু নেই