বিমানের ভেতরে লুকিয়ে যেভাবে স্বর্ণ আনা হয় (ভিডিও)

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত নয় মাসে অবৈধভাবে আনা ৩৩৭ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আড়াই মাসে ৯০ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করেছেন কাস্টম কর্মকর্তারা। স্বর্ণ চোরাচালানে বিভিন্ন কৌশল নেয় চোরাকারবারিরা। বেশিরভাগ শরীর, ব্যাগে লুকিয়ে আনার পাশাপাশি উড়োজাহাজের ভেতরে বিভিন্ন স্থানেও লুকিয়েও স্বর্ণ আনা হয়। শরীরে বহন করার কারণে কোনও কোনও অপরাধী ধরা পড়লেও উড়োজাহাজের ভেতরে লুকিয়ে আনার সঙ্গে জড়িতরা থেকে যান ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

বিমানের সিটের নিচ থেকে স্বর্ণ উদ্ধারের একটি ভিডিও এসেছে। ভিডিও ক্লিপটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বিমান সম্পর্কে সু্ষ্ঠু ধারণা ছাড়া ও বিমানের কর্মীদের সহায়তা ছাড়া এসব জায়গায় লুকিয়ে স্বর্ণ পাচার করা প্রায় অসম্ভব।

সূত্র জানায়, চোরাকারবারিরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকেই এ কাজে বেশি ব্যবহার করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা নেয় স্বর্ণ চোরাকারবারিরা। শুল্ক কর্মকর্তারা অন্য এয়ারলাইন্সের চেয়ে বিমানের ভেতর থেকেই বেশি স্বর্ণ জব্দ করেছেন। এসব স্বর্ণ পাওয়া গেছে বিমানের ভেতরে সিটের নিচে, টয়লেটের কমোডের ভেতরে, টয়লেটের মিরর কেবিনেট, টয়লেট টিস্যু রাখার প্যানেল, টয়লেটের বেসিনের নিচের চেম্বার, ওয়াটার হিটারের সংলগ্ন স্থানে। বিমানের ভেতর স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় বিমানের কর্মীদের সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগও তুলেছে ঢাকা কাস্টম হাউজ।

ঢাকা কাস্টম হাউজ ও বিমান সূত্রে জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি কাতারের দোহা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় আসা বাংলাদেশ বিমানের (বিজি ০২৬) একটি ফ্লাইটে অভিযান চালানো হয়।

সেই সময়ে ঢাকা কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার শহিদুজ্জামান সরকার জানান, বিমানের সিটের নিচ থেকে সাড়ে সাত কেজি ওজনের স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।

সেই অভিযানের একটি ভিডিও 



মন্তব্য চালু নেই